একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে মুষল পর্ব চলছে! একের পর এক পুরভোট, উপনির্বাচনে হারের পর সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বড় চেহারা নিয়েছে। ফলস্বরূপ বিধানসভা নির্বাচনের পর দেড় বছর দল কার্যত হাত-পা গুটিয়ে বসেছিল রাজ্য বিজেপি। বিরোধী দলের ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে এখন রাজ্য বিজেপিতে আলোচনার কেন্দ্রে আগামী ‘ডিসেম্বর’ মাস। রাজ্য বিজেপি নেতাদের মুখে ডিসেম্বর প্রসঙ্গ এসেছিল বেশ কয়েকমাস আগে। যে চর্চা শুরু হয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়। যিনি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তৃণমূল সরকারকে বিরাট ধাক্কা দেওয়ার হুঙ্কার দিয়েছিলেন। শুভেন্দুর কথায় উৎসাহিত হয়ে একই হুঙ্কার দিতে শোনা গিয়েছিল রাজ্য বিজেপির আরও বেশ কয়েকজন নেতাকে। তারপর থেকে ‘ডিসেম্বর’ মন্ত্র জপতে শোনা গিয়েছিল রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবিরের অনুগত কর্মী, সমর্থকদের।
কিন্তু এ মুহূর্তে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সূত্রে খবর, ডিসেম্বর মাসে আসলে বড় মাপের ধাক্কা আসতে চলেছে রাজ্য বিজেপিতেই। রীতিমতো প্রবল সেই ধাক্কায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের গোটা কাঠামোটাই ভেঙে আমূল পালটে যেতে পারে। রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে যাঁরা ধাক্কা দেওয়ার ‘স্বপ্ন’ দেখাচ্ছিলেন, তাঁদের অনেকেরই কুর্সিচ্যুত হওয়ার ‘গল্প’-ও ভাসছে মুরলীধর সেন লেনের বাতাসে। প্রকাশ্যে অবশ্য এ প্রসঙ্গে মুখ খুলছেন না কেউই। তবে বিজেপির এক সর্বভারতীয় নেতার কথায়, ‘গত এক বছরে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের ভূমিকায় যারপরনাই বিরক্ত অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা। যে কারণে সচেতনভাবেই রাজ্য নেতাদের পাঠানো দুর্গাপুজোয় বাংলায় আসার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। অথচ ওই সময় পাশের রাজ্য বিহারে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শোনা যাচ্ছে, ডিসেম্বরে রাজ্য বিজেপির একাধিক তাবড় নেতা পদচ্যুত হতে চলেছেন। যার মধ্যে কয়েকটি নাম রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো।’
