ফের বড়সড় বিতর্কের কেন্দ্রে মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই চলতি অর্থবর্ষের অর্ধেক সময় পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু পিএফ অ্যাকাউন্টে সুদের দেখা পাচ্ছেন না কোনও গ্রাহক! ক্রমশ বাড়ছে জট। ঘনীভূত সংশয়। প্রশ্ন উঠছে, পিএফ অ্যাকাউন্টে কবে মিলবে সুদ? চিন্তিত গ্রাহকরা। যদিও মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রকের দাবি, তারা নাকি সুদ দিয়ে দিয়েছেন। যান্ত্রিক গোলমালের কারণে গ্রাহকরা সেটা দেখতেই পাচ্ছেন না। গত মার্চ মাসে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন বা ইপিএফও ঘোষণা করে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষের জন্যে তারা ৮.১ শতাংশ হারে সুদ দেবে। কিন্তু পাঁচ কোটি গ্রাহকের অ্যাকাউন্টেই সুদের দেখা মেলেনি। একদা প্রত্যেক অর্থবর্ষের শুরুতেই তার আগের অর্থবর্ষের প্রাপ্য পিএফের সুদ মিটিয়ে দেওয়ার রীতি ছিল। মোদী সরকার প্রথম সেই নিয়ম ভাঙে। এপ্রিল মাসে সুদ গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে জমা হওয়ার কথা, কিন্তু তা দিতে টালবাহানা শুরু করেছে মোদী সরকার। যা নিয়েই দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
প্রসঙ্গত, বিগত ২০২০-২১ অর্থবর্ষের সুদ গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে জমা করতে প্রায় নয় মাস সময় নিয়েছিল কেন্দ্র তাদের দাবি ছিল, অর্থমন্ত্রক ছাড়পত্র না মেলায় সুদ মেটাতে দেরি হয়েছে। ইপিএফওর অছি পরিষদকে সুদ ঘোষণার অনুমোদন দেয় কেন্দ্রে অর্থমন্ত্রক। গত জুনেই এবার অনুমোদন দিয়েছে অর্থমন্ত্রক। যদিও সুদ অ্যাকাউন্টে এসে পৌঁছয়নি। সুদ দিতে মোদী সরকারের টালবাহানা নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন তোলেন ইনফোসিসের প্রাক্তন ডিরেক্টর টিভি মোহনদাস পাই। তিনি টুইটে লেখেন, “কোথায় পিএফের সুদ?” সেই সঙ্গেই, কেন অদক্ষ প্রশাসনের জন্যে সাধারণ মানুষকে মাশুল দিতে হবে, তাও মনে করিয়ে দেন তিনি। প্রশাসনিক সংস্কারের দাবিতেও সরব হন মোহনদাস। স্বাভাবিকভাবেই মোদী সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে নানান মহলে।