অব্যাহত কেন্দ্রীয় বঞ্চনা। ফের মোদী সরকারের দুয়োরানিসুলভ আচরণের শিকার বাংলা। দেশের নানান প্রান্তের হস্তশিল্প সামগ্রীকে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে মোদী সরকার। উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ওয়ান ডিস্ট্রিক্ট, ওয়ান প্রোডাক্ট। অর্থাৎ একটি জেলা থেকে একটি পণ্যকে জায়গা দেওয়া হবে। কিন্তু সেখানেও বঞ্চিত বাংলা। যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ, মোদীর গুজরাতের অজস্র পণ্যকে সরকার তুলে ধরার উদ্যোগ নিলেও, বাংলা থেকে মাত্র দুটি সামগ্রী দার্জিলিংয়ের চা ও পিতল-কাঁসার সূক্ষ্ম কাজ সেখানে জায়গা পেয়েছে। যা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। দেশের প্রথম জিআই ট্যাগপ্রাপ্ত পণ্য হল দার্জিলিংয়ের চা। গোটা দেশে জিআই ট্যাগ প্রাপ্ত পণ্যের সংখ্যা ৩৯৩। সম্প্রতি বাংলার মাদুরকাঠি ও ডাল্লে খুরসানি লঙ্কা ভৌগোলিক স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলা থেকে ২১টি পণ্য জিআই পেয়েছে। সেখানে বাংলার মাত্র ২টি সামগ্রীকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকস্তরে তুলে ধরছে মোদী সরকার। এই ঘটনায় রাজ্যের হস্তশিল্পীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, এক জেলা, এক পণ্যের প্রচারের জন্যে ১৫৬ পাতার ‘গিফট ক্যাটালগ’ বানিয়েছে মোদী সরকার। ২৯শে আগস্ট মোদী সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ওয়ান ডিস্ট্রিক্ট, ওয়ান প্রোডাক্ট ডিরেক্টরিতে বাংলাকে স্থান দেওয়া হয়নি। ৮৩ পাতার শিল্পী তালিকাতে বাংলার কোন উল্লেখই নেই! বঞ্চনার অভিযোগ উঠতেই বাণিজ্যমন্ত্রক সাফাই গেয়েছে, ডিপার্টমেন্ট ফর প্রোমোশন অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেডের তৈরি করা রাজ্যওয়াড়ি রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলা নাকি ওডিওপির জন্যে কোনও পণ্য বাছেইনি। সেই কারণেই তারা বিক্রেতার তথ্য পাননি।।যদিও এই সাফাই আদপে পুরোপুরি মিথ্যাচার। রাজ্য যদি ওডিওপির জন্যে কোন পণ্য নাই বেছে থাকে, তবে গিফট ক্যাটালগে বাংলার দুটি পণ্য জায়গা পেল কীভাবে? নয়াদিল্লীর অনুষ্ঠানে অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, অসম ও উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে হস্তশিল্প সামগ্রী প্রদর্শন করেছে বাংলা, সেটাই বা হল কী করে? উঠছে এমনই প্রশ্ন। ঘনীভূত বিতর্কও।
