বুধবার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বাংলার বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩-এ যারা পাশ করবে তাদের জন্য ক্যাম্পাসিং চলছে। তাদের চাকরিও পাকা এ রাজ্যে, এমনই দাবি করলেন ফিরহাদ। পাশাপাশি তিনি বিরোধীদের সমালোচনা করে বলেন, রাজ্য থেকে ব্রেইন ড্রেন হচ্ছে বলে যারা বলেন তাদের দেওয়া তথ্য সঠিক নয়। রাজ্যে প্রকৃত কারিগরি শিক্ষার চিত্র এটাই। পাশাপাশি, বামেদেরও একহাত নিলেন ফিরহাদ। বললেন, “কম্পিউটার ব্যবহারে বাধা দিয়ে রাজ্যের যুব সমাজকে পথে বসিয়েছিল বামেরাই। কলকাতায় কম্পিউটার ব্যবহারে বাধা দেওয়া হয়েছিল বামেদের আমলেই। সেই কম্পিউটারের প্রোজেক্ট চলে যায় ভিনরাজ্যে। আর তার সঙ্গেই সেই সময় যুব সমাজের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল। সেই সময়ই রাজ্য থেকে শিক্ষিত বেকার যুবকদের ভিন রাজ্যে পাড়ি দেওয়া শুরু হয়।২০১১ রাজ্যে ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টেকনোলজিকে আপন করে নেন। শুধু সরকারি ক্ষেত্র নয়, বেসরকারি ক্ষেত্রেও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা তৈরি করা হয়।”
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আয়োজিত এই শিক্ষামেলায় ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শশী পাঁজা, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে টেকনোলজি, কারিগরি, ও ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার উন্নতি নিয়ে বলতে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “১৯৭৯ প্রথম কলকাতায় কম্পিউটার এসেছিল একটি ব্যাঙ্কে। তখন লাল ঝাণ্ডা নিয়ে এসে ঘিরে আটকে রাখা হয়। কম্পিউটার ব্যবহারে বাধা দিয়েছিল তাঁরা। জ্যোতি বসুও সভা করেন। ৬ মাস পরে থেকে সেটা হায়দ্রাবাদে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। টেকনোলজি নাকি চাকরি খেয়ে নেবে লোকজনের। তাই কম্পিউটারকে ঢুকতে দিচ্ছি না দেব না বলে আটকানো হলো। সেদিনই আমাদের বাংলার ভাগ্যটা শেষ হয়ে গেল। সেটাই সত্যিকারে ঐতিহাসিক ভুল ছিল। সেদিন টেকনোলজির উন্নতি সব ভিনরাজ্য হায়দ্রাবাদ ব্যাঙ্গালোরে চলে গেল।” সেদিনের স্মৃতিচারণ করে ফিরহাদ বলেন, “আমরা যারা তখনকার যুবক ছিলাম, আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গেল। তবে সব অন্ধকারের পেছনেই তাকে আলো। অনেক ভুল স্বীকার করে সেক্টর ফাইভ হল। প্রথমে কিছু ডাটা এন্ট্রির অফিস হয়েছিল। সেদিনের বাঙালি আশা ছাড়েনি। ২০১১ সালে এলো সেই সন্ধিক্ষণ। টেকনোলজিকে আপন করে নিল বাংলা।” পাশাপাশি মমতা ভূয়সী প্রশংসা করে ফিরহাদ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়ন করতে পারেন, ম্যাজিক নয়।”