পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রাজ্য সরকার জেলাগুলির প্রত্যন্ত এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবাকে পৌঁছে দিতে প্রস্তাবিত সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি রূপায়ণের কাজ দ্রুত শুরুর নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। আরআইডিএফ-এর টাকায় ৮২৪ টি সুস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এক একটি ব্লকে একাধিক কেন্দ্র তৈরি হবে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব বুধবার প্রত্যেক জেলাশাসক ও জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিকে চিঠি দিয়ে এই প্রকল্পের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে থাকলে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিলেন। সম্প্রতি একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি ব্লকে ব্লকে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির ব্যাপারে নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয় সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলির সঙ্গে সঙ্গে যাতে গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে যায় তার জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগ নিতে বলেন স্বাস্থ্য দফতরকে। অবশেষে অর্থ দফতরের ছাড়পত্র পাওয়ায় স্বাস্থ্য দফতর বিশেষভাবে উদ্যোগী হতে বলল জেলাগুলিকে।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের প্রসবকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারি প্রকল্পগুলি রূপায়ণে রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং নারী,শিশু ও সমাজ কল্যান দফতরকে এক ছাতার তলায় এনে কর্মসূচি রূপায়ণে উদ্যোগী হয়েছে। আন্ত্রিক, কালাজ্বর, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মশাবাহিত বা জলবাহিত সংক্রমনের চিকিৎসাও হবে এই কেন্দ্র থেকে। যার লক্ষ্য হল আশা কর্মী, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অক্সিলারি নার্স ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা একসঙ্গে যাতে কাজ করে। প্রত্যন্ত এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবাকে পৌঁছে দেওয়া যায়। সেই মতোই রাজ্য সরকার ৮২৪ টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। এজন্য টেন্ডার ডাকা হয়ে হয়ে যায়। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের আর্থিক সঙ্কটের জন্য তা কার্যকরে সাময়িক স্থগিত রাখা হয়। আরআইডিএফ খাতে বরাদ্দ অনুমোদন পেতেই রাজ্য সরকার এই কেন্দ্র তৈরির কাজে হাত দিল।