অব্যাহত তোলপাড়। চলতি বাদল অধিবেশনের দশম দিনও। বিরোধী এবং ট্রেজারি বেঞ্চের তীব্র বাদানুবাদের মধ্যে লোকসভা ও রাজ্যসভা, সংসদের দুই কক্ষই সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করা হল। এদিন বিরোধী দলের সদস্যরা মূল্যবৃদ্ধি, জিএসটি এবং অগ্নিপথ নিয়োগ প্রকল্প নিয়ে আলোচনার জন্য চাপ দেন। অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যে রাষ্ট্রপতিকে ‘অপমান’ করার জন্য কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর ক্ষমা প্রার্থনা দাবি করা হয়। লোকসভা এবং রাজ্যসভা দুই কক্ষেরই অধিবেশন ফের শুরু হবে সোমবার সকাল ১১টায়। এদিন লোকসভা এবং রাজ্যসভা দুই কক্ষেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সবার কাজ মুলতবি করে দেওয়ার প্রস্তাবের নোটিশ দেওয়া হয়। লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদ কে সুরেশ অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি-সহ বিজেপি সাংসদরা কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধীকে হুমকি দিয়েছেন। এই চাঞ্চল্যকর প্রচেষ্টার জন্য লোকসভা মুলতবি রাখার প্রস্তাব দেন তিনি। অন্যদিকে, রাজ্যসভায় কেন্দ্রের অগ্নিপথ নিয়োগ প্রকল্প নিয়ে রাজ্যসভার কাজকর্ম স্থগিত রাখার বিজ্ঞপ্তি দেন কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দ্র সিং হুডা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল ১১টায় বাদল অধিবেশনের দশম দিনে লোকসভার কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছিল। কিন্তু, বিরোধীদের হট্টগোলের মধ্যে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ সিং নারায়ণ কংগ্রেসের আনা সাসপেনশন নোটিশ প্রত্যাখ্যান করেন। তবে, এখানেও বিরোধী সাংসদদের বিক্ষোভে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করা হয়। তারপর ফের লোকসভার কার্যক্রম শুরু হয়। ফের বিরোধীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন ও স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। রাজ্যসভাতেও প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হওয়ার পর বিরোধী সাংসদরা হাউসের ওয়েলে নেমে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন, স্লোগান দেন। চেয়ার বারবার করে প্রশ্নোত্তর পর্বের গুরুত্ব তুলে ধরে সাংসদদের ওয়েল থেকে গিয়ে তাঁদের আসনে বসার অনুরোধ করেন। কিন্তু, তাতে কাজ হয়নি। তীব্র হই-হট্টগোলের মধ্যে, ১লা আগস্ট সকাল ১১টা পর্যন্ত রাজ্যসভা মুলতবি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এদিন লোকসভায় উত্তাল হয়ে ওঠে শাসক ও বিরোধী সাংসদদের স্লোগানে। এরপর, ৩৭৭ নম্বর বিধির অধীনে কয়েকটি বিষয় কক্ষে তোলার সঙ্গে সঙ্গে সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করে দেওয়া হয় লোকসভা।
