আজ, বৃহস্পতিবার দলের তরফে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রকাশ্যে কিছু না বললেও পরে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইনডাস্ট্রিয়াল বোর্ড’-এর বৈঠকে তিনি নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠনের কথা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, পার্থের হাতে শিল্প ছাড়াও আরও দু’টি দফতর ছিল। তথ্য প্রযুক্তি ইলেকট্রনিক্স এবং পরিষদীয় দফতর। আপাতত তিনটি দফতরই নিজের হাতে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সে কথা জানাতে গিয়েই সৌজন্য সভাগৃহের বৈঠকে বণিক সমাজের প্রতিনিধিদের মমতা জানান, নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস-সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার কয়েক জন সদস্য এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই মমতা বলেন, ‘‘পার্থদার কাছে যে যে দফতরগুলি ছিল, সেগুলি আপাতত আমার কাছে থাকছে। হয়তো কিছুই করব না, কিন্তু যত ক্ষণ না নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করছি তত ক্ষণ এই দফতরগুলি আমার কাছে এসেছে।’’
প্রসঙ্গত, রাজ্যের মন্ত্রিসভা বদল নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা ছিলই। সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সাধন পান্ডের মৃত্যুর পরে নতুন করে কাউকে মন্ত্রী করা হয়নি। দফতরগুলি অন্য মন্ত্রীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। কয়েক জনের দফতর রদবদলও হয়। এখন মুখ্যমন্ত্রীর যা ইঙ্গিত তাতে পার্থর দফতরগুলি তিনি সাময়িক ভাবেই নিজের কাছে রাখছেন। পরে নতুন কাউকে তিনি সেই দফতর দেবেন, না কি মন্ত্রিসভা বদল হবে তা অবশ্য বৃহস্পতিবার তিনি উল্লেখ করেননি। গোটা মন্ত্রিসভা ভেঙে নতুন করে তা গঠন করতে পারেন মমতা। আবার নতুন কয়েক জনকে মন্ত্রী করে পুরনোদের কাউকে বাদও দিতে পারেন। তবে বর্তমানে মন্ত্রী থাকা অনেকেরই দফতর বদলে যেতে পারে বলে তৃণমূলের অন্দরে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে শেষ কথা বলবেন তৃণমূল সুপ্রিমোই।