উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের। বারবারই রাজনৈতিক কার্যকলাপ ও বিজেপি নেতাদের যাতায়াত দেখা যাচ্ছে কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এ নিয়ে আগেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছিল শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ প্রত্যক্ষভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এবার কালীপুজো নিয়ে লেকচার সিরিজের আয়োজন করে প্রবল সমালোচনার মুখে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রাজনৈতিক স্বার্থেই কি এই সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন তুলেছেন ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর।
প্রতিবারের মতোই এবারও লেকচার সিরিজের আয়োজন করেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। নির্দেশিকা অনুযায়ী, আগামী ২৫ জুলাই হবে এই লেকচার সিরিজ। বিষয়, “কালীপুজোর ধারণা”। সেখানে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, অধ্যাপক, ছাত্র-ছাত্রীরা তো থাকবেনই। এছাড়া থাকবেন শ্রী শারদআত্মানন্দ মহারাজ। এই নির্দেশিকা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কারণ, ব্রহ্ম ধর্ম পালন হয় বিশ্বভারতীতে। মূর্তি পুজোয় বিশ্বাসী নয় ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বভারতীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানানো হয় তাঁর চেয়ারে পুষ্পার্পণ করে। তাহলে কেন কালী পুজোর ধারণা নিয়ে লেকচার সিরিজের আয়োজন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
এ প্রসঙ্গে ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, ‘বিশ্বভারতীতে এই ধরণের আলোচনা প্রথম এবং এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’ তাঁর অভিযোগ, গোটা বিষয়টার নেপথ্যে রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। বিজেপি সরকারের কাছে ভাল সাজতে উপাচার্য এই ধরনের লেকচার সিরিজের আয়োজন করেছেন। যা বিশ্বভারতীর রীতি বিরুদ্ধ। বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ করেছেন তিনি। এই বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না আবাসিকরাও। এই সিদ্ধান্তে রীতি মতো স্তম্ভিত তাঁরা। কালী পুজো নিয়ে লেকচার সিরিজের আয়োজনের নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি থাকতে পারে বলেই তাঁদের ধারণা।