ঘটল একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সংসদের বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেও অব্যাহত বিরোধীদের বিক্ষোভ প্রদর্শন। গতকাল বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে লোকসভা এবং রাজ্যসভা মুলতুবি করা হয়েছিল। এদিকে আজও এই ঘটনা ঘটে। বিরোধীরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিরোধীরা। এরপর দুপুর দুটো পর্যন্ত লোকসভা মুলতুবি করে দেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি নির্দেশিকায় বলা হয়, সংসদের ভেতরে কোনও প্যামফলেট, লিফলেট বা প্ল্যাকার্ড বিতরণ নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও বিরোধী সাংসদরা আজ প্রতিবাদ দেখান। বিরোধী সাংসদরা যে প্ল্যাকার্ড নিয়ে এসেছিলেন সেগুলিতে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন প্রাক্তন সরকারের অধীনে বর্তমান এনডিএ শাসনামলে ভারতীয় মুদ্রার দামের তুলনা ছিল। বেকারত্বের হার নিয়েও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শিত হয়। এই আহবে লোকসভা মুলতুবি করা হয়।
এদিন নিম্নকক্ষ মুলতবি করার আগে ওম বিড়লা বলেন, “নিয়ম অনুসারে, হাউসের ভিতরে প্ল্যাকার্ড আনার অনুমতি নেই।” মূল্যবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে বিরোধী সাংসদরা এদিন স্লোগান তোলেন রাজ্যসভাতেও। এর জেরে রাজ্যসভার কার্যক্রমও দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। সংসদের বাদল অধিবেশনের আগেই সামনে আসে একটি নির্দেশিকা। লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, সংসদ চত্বরে কোনও অনশন, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ করা যাবে না। এদিকে লোকসভার সচিবালয়ের তরফে একটি বুকলেট ইস্যু করা হয়েছিল। সেখানে একাধিক অসংসদীয় শব্দের লম্বা তালিকাও ছিল। জুমলাজীবী, ধর্ম, ভণ্ডামির মতো শব্দগুলিকে অংসসদীয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর সঙ্গেই গদ্দার, গিরগিট, চামচা, চামচাগিরি, চেলা, কালাদিন, কালাবাজারির মতো শব্দকেও অংসদীয় বলে উল্লেখ করা হয়। যা ঘিরে তুমুল বিতর্কেরও সূত্রপাত হয়েছে।