অব্যাহত শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক অচলাবস্থা। জনসাধারণের ক্ষোভের আগুনে উত্তপ্ত কলম্বো। ক্রমাগত জলকামান ছুড়ে, কাঁদানে গ্যাসের টিয়ার ফাটিয়েও বিক্ষোভকারীদের থামাতে পারছে না আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। শুধু প্রধানমন্ত্রী তথা অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের বাসভবনই নয়, দেশের সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম ‘রূপবাহিনীর’ ভবনও দখল করেছে উত্তেজিত জনতা। আর তার ফলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন টিভি চ্যানেলে কর্মরত আধিকারিক-কর্মচারীরা। দুপুরেই টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কা রূপবাহিনী করপোরেশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সমস্ত ধরনের সম্প্রচার।
উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে পথ চলা শুরু করেছিল সরকারি গণমাধ্যম ‘রূপবাহিনী’। জাপান সরকারের আর্থিক সহযোগিতাতেই গড়ে তোলা হয়েছিল সরকারি টিভি চ্যানেলটি। দেশে আর্থিক সংকট শুরু হওয়ার পর থেকেই সরকারি মুখপত্র হিসেবে পরিচিত রূপবাহিনীর উপরে চটে গিয়েছিলেন দ্বীপরাষ্ট্রটির জনগণ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ অনুযায়ী, গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা লাগাতার লুটতরাজ চালানোর পরেও শাসকদলের হয়ে ভজনা চালিয়ে গিয়েছে সরকারি সম্প্রচার মাধ্যমটি। এদিন বিক্ষোভকারীরা টিভি ভবনে ঢুকে আচমকাই অনুষ্ঠান সঞ্চালককে সরিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিতে থাকেন।তার পরেই সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়।