গত বছরের ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছিল। সেই তালিকায় ছিল হাইভোল্টেজ বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামও। সেই নন্দীগ্রামের খুনের অভিযোগে অর্থাৎ এই মামলায় এর আগেও অন্যতম অভিযুক্ত শেখ সুফিয়ানের আগাম জামিনের আবেদনও খারিজ করেছিল হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে আগাম জামিন দেয়। সিবিআই-এর ভূমিকায় ফের একবার বিরক্তি প্রকাশ আদালতের। আবু তাহেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত হিসেবে না ডেকে সাক্ষী হিসেবে তলব করছে সিবিআই। তাহলে কেন আদালতে তাঁর আগাম জামিনের বিরোধিতা করা হচ্ছে? এটা কি ধরনের যুক্তি? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে প্রশ্ন বিরক্ত হাইকোর্টের।
বুধবার ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় নন্দীগ্রামের খুনের অভিযোগে আবু তাহেরের আগাম জামিনের শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। শুনানি চলাকালীন এই প্রশ্ন তুলল হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও শেষ পর্যন্ত ওই আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, এর আগে এই একই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত শেখ সুফিয়ানের আগাম জামিনের আবেদনও খারিজ করেছিল হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে আগাম জামিন দেয়। যদিও এদিন সিবিআই-এর তরফে দাবি করা হয়, একই মামলায় দুই জনেই অভিযুক্ত হলেও অভিযোগের গুরুত্ব দুই জনের বিরুদ্ধে এক নয়।