দু’বছর করোনার বাতাবরণের পর আবারও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে সবকিছু। যাতায়াত করছে মানু্ষজন। কিন্তু আতঙ্ক একেবারে কেটে যায়নি। ইতিমধ্যেই বেড়েছে একাধিক কোভিড কেস। তারই মধ্যে নয়া আতঙ্ক অ্যাসিড পোকার আক্রমণ। দার্জিলিং জেলার বিভিন্ন প্রান্তের সাধারণ মানুষ অ্যাসিড পোকার আক্রমণে বিধ্বস্ত। পাহাড় থেকে সমতল – সব জায়গাতেই এই পোকার প্রকোপ বাড়ছে। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের বেশ কয়েকজন পড়ুয়াও এই পোকার আক্রমণের শিকার হয়েছেন। জেলা প্রশাসন অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখছে। এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাদের দাবি, পোকাটি কামড়ে হুল ফোটায়। ওর শরীরে ‘পিডেরিন’ নামক একপ্রকার বিষাক্ত ও ক্ষতিকর পদার্থ থাকে, যা মানুষের ত্বক ও কোষের মারাত্মক ক্ষতি করে। অ্যাসিডের সংস্পর্শে এলে যেমন মানুষের ত্বক পুড়ে যায় বা ত্বকে ফোসকা পড়ে। ওই পোকা কামড়ালে বা হুল ফোটালে একই রকম অবস্থা হয়।
পোকার কামড়ে শরীরের যে অংশে ক্ষত সৃষ্টি হবে, সেই অংশটি অন্য উন্মুক্ত অংশের সংস্পর্শে এলে সেখানেও একইরকম ক্ষত তৈরি হতে পারে। অ্যাসিড পোকা কামড়ালে ক্ষতস্থান ও আশেপাশের অংশে জ্বালাপোড়া, ব্যথা, বমি বা বমিভাব, মাথাব্যাথা, জ্বর হতে পারে। পোকাটি এতটাই ক্ষতিকর যে, পোকাটির সংস্পর্শে যদি কারো চোখে ক্ষত হয় তবে সেই ব্যক্তি দৃষ্টিশক্তিও হারাতে পারেন। চিকিৎসকদের একাংশ এমনই সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। অ্যাসিড পোকার হামলা থেকে সাবধানে থাকার উপরই জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বাড়ির আশপাশ ও জলাধার পরিষ্কার-পরিচ্ছন রাখা, সন্ধের আগে বাড়ির দরজা, জানালা বন্ধ করে রাখা, প্রয়োজন বুঝে ঘরে সাদা আলোর পরিবর্তে হলুদ আলোর বাতি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি পোকার আক্রমণ ঠেকাতে ঘরের আলো নিভিয়ে বাড়ির বাইরের অংশে আলো জ্বালিয়ে রাখা, ঘুমোনোর সময় অবশ্যই মশারি টাঙানো এবং আলো নিভিয়ে দেওয়া, বিছানার চাদর, বালিশ, তোষক পরিষ্কার রাখার উপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।