পুরনো ফর্মুলা মেনেই সদ্য সমাপ্ত উত্তরপ্রদেশ ভোটের সময় পিছিয়ে থাকা অংশের পাশাপাশি সমাজের অগ্রবর্তী ভাগ বলে পরিচিত ব্রাহ্মণদের নানাভাবে খুশি করার চেষ্টা করেছেন তিনি। রাজ্যজুড়ে করেছেন ব্রাহ্মণ সম্মেলন। কিন্তু তাতেও কার্যসিদ্ধি হয়নি। উত্তরপ্রদেশের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলিত নেত্রী মায়াবতীর দল বহুজন সমাজবাদী পার্টি পেয়েছে মাত্র একটি আসন। তাদের দলিত ভোট চলে গিয়েছে বিজেপির দিকে। আর মুসলিম ভোটে থাবা বসিয়েছেন সমাজবাদী পার্টি। ফলে দলের পুনরুত্থানের জন্য চাই দলিত মুখই। আর তাই এবার দলের দু’নম্বর আসন থেকে সরতে হল একদা দলের শীর্ষনেত্রী মায়াবতীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সতীশ মিশ্রকে। বিএসপি সূত্রে খবর, ৬৯ বছরের মিশ্রকে মায়াবতী নিজে দলের আইনি ব্যাপারগুলোর দিকেই এখন থেকে নজর দিতে বলেছেন। নির্দিষ্টভাবে আইনি বিভাগটাই দেখতে বলেছেন।
প্রসঙ্গত, মিশ্র দলের গত দুটো গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি আজমগড় লোকসভা উপনির্বাচনে তারকা প্রচারকের তালিকাতেও সতীশ মিশ্রের নাম রাখেনি দল। আর, সেটা মায়াবতীর ইচ্ছাতেই হয়েছে বলেই বিএসপি সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারী-মার্চে হওয়া উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছে বিএসপি মাত্র একটি আসন পেয়েছে। তার পর থেকে মায়াবতী এখনও পর্যন্ত লখনউয়ে দলের সমস্ত শীর্ষস্থানীয় পদাধিকারীদের নিয়ে তিনটি বৈঠক করেছেন। তার মধ্যে প্রথমটি, ২৭ মার্চের বৈঠকে সতীশ মিশ্র যোগ দিয়েছিলেন। ২৯ মে এবং ৩০ জুনের অন্য দুটি সভায় তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। কেন সতীশ মিশ্র দলের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অনুপস্থিত, সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে বিএসপি নেতাদের একাংশ জানিয়েছেন, সতীশ মিশ্র অসুস্থ। সেই কারণে বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি।