মোদীর আমলে দেশজুড়ে ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে আমজনতার। তার উপর এবার বাড়তি জিএসটির বোঝা চাপিয়ে চিকিৎসা খাতে ব্যয়কেও মানুষের সাধ্যের বাইরে নিয়ে গেল কেন্দ্র। জিএসটি কাউন্সিল চিকিৎসা ক্ষেত্রের একগুচ্ছ পরিষেবার জিএসটি বৃদ্ধি করছে। যার ফলে চিকিৎসা ক্ষেত্রের বিল অনেকাটাই বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। চিকিৎসা পরিষেবার উপরে বসানো জিএসটি ও হাসপাতালের বেড ভাড়া, দুই বোঝাই চাপছে রোগীর উপর। চিকিৎসার বিলের সঙ্গে সঙ্গেই অতিরিক্ত জিএসটির বোঝায় বাড়তে চলেছে স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামও। হাসপাতালের বেড ভাড়া, চিকিৎসার উপকরণসহ চিকিৎসা সংক্রান্ত বেশ কিছু পরিষেবার ক্ষেত্রে জিএসটির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই এই বৃদ্ধির জেরে পাল্লা দিয়ে মেডিক্লেমের প্রিমিয়াম বাড়ারও প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। দেশজুড়ে স্বাস্থ্যবিমায় ১৮ শতাংশ জিএসটি থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার দাবি উঠেছিল। সে দাবি মেনে নেওয়া হলেও বাস্তবায়িত হয়নি। আজও স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ জিএসটি চালু রয়েছে। এবার হাসপাতালের বেডেও নতুন ৫ শতাংশ জিএসটির বোঝা চাপালো মোদী সরকার। বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের ক্ষেত্রে আবার ১২ শতাংশ জিএসটি বসেছে। অত্যধিক হারে চিকিৎসার খরচের বৃদ্ধিতে, বেসরকারি হাসপাতালের কেন্দ্রীয় সংগঠন থেকে বণিকসভা ফিকি; সকলেই ক্ষুব্ধ।মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেই কেন ফের চিকিৎসা খরচ বাড়িয়ে দেওয়া হল, তার কারণ জানতে চেয়ে বণিকসভা দেশের অর্থমন্ত্রকে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য, মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিরোধীরাও। স্বাস্থ্যবিমায় ১৮ শতাংশ, হাসপাতালের বেড ভাড়ার উপর ৫ শতাংশ, সাধারণ মানুষের উপর আর কত বোঝা চাপাবে মোদী সরকার, সেই প্রশ্নই উঠছে। ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের তরফে অর্থমন্ত্রীর কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবায় জিরো জিএসটি হার চালু করার আবেদন করা হয়েছে। হাসপাতাল সংগঠনের পক্ষ থেকে মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হচ্ছে। হাসপাতালের বেডের জন্য পাঁচ শতাংশ জিএসটি চাপালে চিকিৎসা করানোও মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিও সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়বে। এমনই অনুমান করছে বিশেষজ্ঞ মহল।