নির্ঘন্ট সময়ের আগে বর্ষা ঢুকে ভাসিয়ে দিচ্ছে উত্তরবঙ্গ। অনবরত ভারী বৃষ্টির জেরে সতর্কতা জারি হয়েছে পাহাড়ে। এ নাগাড়ে চলা বৃষ্টিতে তছনছ অবস্থা। একদিনে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে কুলুতে চারজন ভেসে গিয়েছেন বলে খবর। সিমলায় ভয়াবহ ধসে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। হড়পা বানে বিপর্যস্ত এলাকার জনজীবন। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকার চাষের জমি। টানা বৃষ্টির জেরে বিধ্বস্ত হিমাচলপ্রদেশের সিমলার ধলি এলাকায় ভূমিধসে মৃত্যু হল এক মহিলার। জখম আরও দুই জন। প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃত মহিলা ভবঘুরে। রাস্তার পাশে ঘুমিয়ে ছিল সে। জখমদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধসের ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যানচলাচলও। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তছনছ কুলু এলাকাও। জলের তোড়ে চারজন ভেসে গিয়েছেন বলে খবর।ভেঙেছে বাড়ি, তলিয়ে গিয়েছে গাড়ি। গত কয়েদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলছে হিমাচলপ্রদেশের বেশ কয়েকটি অংশে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কুলু জেলার একাধিক স্থান। হঠাৎ মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে জলস্তর বেড়ে যায় বেশ কয়েকটি নদীর।
এর ফলে হড়পা বানে কুলু জেলার একাধিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জলের তোড়ে বাড়ি-ঘর, গাড়ি তলিয়ে যাওয়ার খবর মিলেছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর মিললেও, এখনও পর্যন্ত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে। শুধু হিমাচল নয়, পঞ্জাব ও হরিয়ানার বেশ কয়েকটি এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে, এখনই বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই মিলছে না হিমাচলপ্রদেশের। সিলমা, সোলান, সিরমাউর, বিলাসপুর, হামিরপুর, মান্ডি এবং উনা জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে সিমলার ইন্ডিয়ান মেটিওরোলজিক্যাল সেন্টার। স্বস্তির খবর শোনাতে পারেনি মুম্বই আবহাওয়া অফিসও। রবিবার রাত থেকে শুরু হওয়ার বৃষ্টির থামার কোনও লক্ষণই নেই। আরও পাঁচদিন ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী পাঁচদিনে জুলাই মাসের ৭০ শতাংশ বর্ষণের কথা জানিয়েছে তারা। টানা বৃষ্টির জেরে ভাসছে মুম্বই নগরী। শহরের অধিকাংশ এলাকায় কোথাও হাঁটু, আবার কোথাও কোমড় সমান জল। ফুঁসছে সমুদ্রও। জলবন্দি হয়ে পড়েছে বহু মানুষ। বিপর্যস্ত যান চলাচল।