কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী মঙ্গলবার ‘একক, নিম্ন জিএসটি হার’ বাস্তবায়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কটাক্ষ করেছেন। এর আগে সোমবার মহিলা কংগ্রেস খাদ্যশস্যের উপর ৫% জিএসটি ধার্য করায় কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাসভবনের বাইরে প্রতিবাদ করে কংগ্রেস।
মঙ্গলবার সকালে টুইটারে রাহুল গান্ধী স্বাস্থ্য বীমা (১৮%), হাসপাতালের কক্ষ (৫%) এবং হীরা (১.৫ %) জিএসটি শতাংশের তুলনা করেছেন। এই ট্যাক্সকে তিনি গব্বর সিং ট্যাক্স বলেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘একক, কম জিএসটি হার কমপ্লায়েন্স খরচ কমিয়ে দেবে। কিন্তু এতে খুশি নয় মোদী সরকার। মানুষকে সমস্যায় ফেলা এঁদের কাজ। এর ফলে সুবিধা পেয়ে যায় ধনীরা। সমস্যা হয় গরীব আর মধবিত্তের। ওঁদের সেদিকে নজর নেই আর থাকবেও না’। সোজা কথায় তিনি বলতে চাইছেন এটা ডাকাতি যেমন গব্বর ছিল একজন ডাকাত। আর তার কাজকর্ম মানুষকে ভয়ে রাখত তো তেমন ভাবেই এই ট্যাক্সও মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে ।
জিএসটি কাউন্সিল, পণ্য ও পরিষেবা কর ধার্যের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা ২৮ শে জুন শুল্ককে যৌক্তিক করার লক্ষ্যে ছাড় প্রত্যাহারের বিষয়ে রাজ্যগুলির একদল মন্ত্রীর বেশিরভাগ সুপারিশ গ্রহণ করেছিল। প্রি-প্যাক করা এবং লেবেলযুক্ত মাংস (হিমায়িত ব্যতীত), মাছ, দই, পনির, মধু, শুকনো শাকসবজি, শুকনো মাখানা, গম এবং অন্যান্য সিরিয়াল, গম বা মেসলিনের আটা, গুড়, পাফ করা চাল (মুড়ি), সমস্ত পণ্য এবং জৈব সার এবং কয়ার পিথ কম্পোস্ট এখন ৫% জিএসটি ধার্য করে। এর ফলে বিরোধী দলে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে, অনেক রাজনৈতিক নেতা সরকারকে সমালোচনা করেছেন।
দিল্লি মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি অমৃতা ধাওয়ান গতকাল অভিযোগ করেছেন, ‘সরকার সাধারণ মানুষের পকেটে ছিদ্র পড়তে শুরু করেছে। মহামারীর কারণে প্রতিটি পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে, মানুষের চাকরি নেই। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত জনগণকে ত্রাণ দেওয়া। কিন্তু তারা শুল্ক নিচ্ছে। পরিবর্তে খাদ্যশস্যের উপর জিএসটি বসিয়ে দিয়েছে’।