ফের সমস্যার মুখে বিজেপি। বিহারে তারা জোট করে সরকার গড়লেও সঙ্গী জেডিইউয়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ক্রমশ শীতলতার দিকে এগোচ্ছে। যতই সময় যাচ্ছে, ঘনীভূত হচ্ছে মতানৈক্য। দুই দলের নেতারা বিভিন্ন ইস্যুতে নিজেদের মধ্যেই বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ছেন। এমতাবস্থায় জেডিইউয়ের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নন, এনডিএ’র মুখ হলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। শনিবার জেডিইউয়ের সংসদীয় বোর্ডের চেয়ারম্যান উপেন্দ্র কুশওয়াহা পরিষ্কার বলেছেন, “বিহারে এনডিএ মানে নীতীশ। আর নীতীশ মানেই এনডিএ।” অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হোন কিংবা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিহারের ভোটারদের কাছে নীতীশের বিকল্প নন কেউই। তেমনটাই ঠারে ঠারে বোঝাতে চেয়েছেন উপেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জোটসঙ্গী বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “নীতীশ কুমারকে নিয়ে যদি কারও মনে কোনও সংশয় থাকে, তাহলে সেই শঙ্কা সরিয়ে ফেলুন। যখন থেকে বিহারে এনডিএ পথচলা শুরু করেছে তখন থেকেই নীতীশ কুমার জোটের মুখ। যতদিন এনডিএ থাকবে, ততদিন মুখ হিসেবে থাকবেন নীতীশই। মনে রাখতে হবে, বিহারে নীতীশই এনডিএ আর এনডিএ মানেই নীতীশ।” উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীতে নিয়োগের নয়া প্রকল্প অগ্নিপথ নিয়ে প্রকাশ্যেই মোদী সরকারের বিরোধিতায় সরব হয়েছে নীতীশের জেডিইউ। অগ্নিপথ প্রকল্প বিরোধীদের আন্দোলনের জেরে কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল বিহার। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী রেণু দেবী বিজেপি সভাপতি সঞ্জয় জয়সোয়ালের বাড়িতেও হামলা চালিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। ওই হামলার পিছনে জেডিইউয়ের মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি নেতারা। দুই দলের মধ্যে টানাপোড়েন দূর করতে গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। কিন্তু সেই সাক্ষাতেও যে বরফ গলেনি, উপেন্দ্রর মন্তব্য তা আরো একবার স্পষ্ট করে দিল।