দেশের সংবিধান সকল প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিককে ভোটাধিকার দিয়েছে, দিয়েছে নিজের পছন্দমতো জনপ্রতিনিধিকে বেছে নেওয়ার হক। কিন্তু অনেক সময় ভোট অথবা স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন কিছু ঘটনা সামনে আসে, যা শুনলে মনে হয় ‘গণতান্ত্রিক অধিকার’ ভূলুণ্ঠিত। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে মানওয়ার এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে। সে রাজ্যের ধর জেলার গান্ধওয়ানি ব্লকের কাছে খারবারদি গ্রামে শনিবার প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান সহ ১৯ জন মিলে গ্রামেরর ৫ জনকে বেধড়ক মারধর করেছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
এই মারধরের ঘটনার খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল গান্ধওয়ানি থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। এই ঘটনার পর পঞ্চায়েত প্রধান সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ২৯৪, ৩২৩ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। জানা গিয়েছে অভিযুক্তদের প্রত্যেকেই পলাতক এবং তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
কমল ধারভ নামে স্থানীয় এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান সুভান দাওয়ার তাঁর স্ত্রী সায়াদিবাইকে নিজের মামতো ভাই রাজেন্দ্র মান্ডলোইয়ের স্ত্রী রীনার বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছিলেন। ফল বেরতে দেখা যায় রীনা ১১৫ ভোটে জয়ী হয়েছে। স্ত্রীয়ের এই পরাজয় মানতে না পেরে সঙ্গী সাথীদের সঙ্গে অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছিল সুবহান। রাজেন্দ্র মন্ডলোই, ধনসিং, সুন্দরলাল, গুমান, আশিস সহ পাঁচজন মারধরের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ প্রাক্তন প্রধান তাদেরও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।