মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেই দ্রুত অ্যাকশন। এবার রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ শিল্পাঞ্চল আসানসোল-দুর্গাপুর এলাকার সব শিল্পসংস্থার ঠিকা শ্রমিকদের পে স্লিপ দিতে উদ্যোগী হল রাজ্যের শ্রম দফতর। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ওই এলাকার কয়েক লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন রাজ্যের ইস্পাতনগরী দুর্গাপুরে সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে এক প্রশাসনিক বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই পে স্লিপের বিষয়টি তোলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার কাছে অভিযোগ আছে বেশিরভাগ ঠিকাশ্রমিক পে স্লিপ পান না। তাই তাঁদের বেতন কোথায় কত কাটা হচ্ছে, তা জানতে পারেন না। রাজ্যজুড়ে সব ঠিকা শ্রমিকদের পে স্লিপ দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর এহেন নির্দেশের পরে পরেই রাজ্যের শ্রম দফতর এবার আসানসোল-দুর্গাপুর এলাকার সব শিল্পকারখানায় পে-স্লপ ইস্যু করা বাধ্যতামূলক করতে চলেছে। আগামী দিনে এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের সব শিল্প-কারখানায় বাধ্যতামূলক করা হবে বলে রাজ্যের শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুর থেকে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই নির্দেশ কার্যকর করতে রবিবার দুর্গাপুরেই বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক, শ্রমদফতরের প্রতিনিধি ও আইএনটিটিইউসির শীর্ষ নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন শিল্পাঞ্চলের কলকারখানাগুলির মালিক পক্ষ। সেখানেই পে স্লিপের বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পাশাপাশি পিএফ-সহ বাকি সুযোগ সুবিধা দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, এবার থেকে রাজ্যের প্রতিট জেলায় জেলাশাসকের নেতৃত্ব একটি করে কমিটি গড়ে দেবে রাজ্য সরকার। সেই কমিটিই জেলার শিল্পকারখানাগুলিতে ঠিকাশ্রমিক নিয়োগের বিষয়টি দেখভাল করবে। একইসঙ্গে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, শিল্পসংস্থা এলাকা ছাড়াও রাজ্যে যত বেসরকারি সংস্থা রয়েছে তাঁদেরও নির্দেশ দেওয়া হতে পারে তাঁদের সব কর্মীকে পে-স্লিপ দেওয়ার জন্য। সেই সঙ্গে তাঁরা যাতে পিএফ ও ইএসআই-য়ের সিবিধা পান সেটিও বাধ্যতামূলক করার পথে এগোতে চাইছে রাজ্য সরকার।