গত দু’বছর করোনার বাতাবরণে জারি ছিল পুরীর মন্দিরে জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা। রথযাত্রার পর এবার বিশেষ ‘বানাকা লাগি’ প্রথা। আবারও ভক্ত সমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ। আর তাই সোমবার পুরীর গুণ্ডিচা মন্দিরে বন্ধ করা হল দর্শন। পুরীর জগন্নাথধামে এদিন পুণ্যার্থী ভগবানের দর্শন করতে পারবেন না। বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে মন্দির। এই সবে কাটল রথ। তারপর সপ্তাহের শুরুতেই ভক্তদের জন্য বন্ধ করা হল জগন্নাথধাম। জানা গিয়েছে, এদিন বন্ধ থাকবে পুরীর গুণ্ডিচা মন্দিরের দরজা। এই মন্দিরের অধপ মণ্ডপে বর্তমানে অধিষ্ঠিত রয়েছেন ভগবান জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রা। রথযাত্রার সপ্তাহের এই দিনটিতে অনুষ্ঠিত হবে ‘বানাকা লাগি’ রীতি। আর সেই উপলক্ষেই ভক্ত সমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ। পুরীর মন্দির কমিটি জানিয়েছে, এদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দর্শন বন্ধ থাকবে গুণ্ডিচা মন্দিরে। ‘বানাকা লাগি’ রীতি অনুযায়ী এদিন ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা নয়া সাজে সজ্জিত হবেন। বিশেষ ধরণের সাজের সরঞ্জাম ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে গুণ্ডিচা মন্দিরে।
প্রসঙ্গত, রথযাত্রা উৎসবের সূচনার আগেও গত ৮ জুন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই ‘বানাকা লাগি’ রীতি। সেইদিনও নয়া শৃঙ্গার হয়েছিল ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার। ওই দিনও বন্ধ রাখা হয়েছিল মন্দির। নিষিদ্ধ ছিল দর্শনার্থীদের প্রবেশ। রথযাত্রার আগে মূল জগন্নাথ মন্দিরের অন্দরে ভোগ মণ্ডপে জগমোহনের গুরুদা পিলারের কাছে এই শৃঙ্গারের কাজ চলে। তবে মাসির বাড়ি যাত্রার পর এদিন এই শৃঙ্গার হবে গুণ্ডিচা মন্দিরে। কেবলমাত্র রথযাত্রা উপলক্ষেই নয়, গোটা বছর জুড়ে সাত থেকে আটবার করা হয় এই শৃঙ্গার। ‘বানাকা লাগি’ আচারটি তৈরি হয়েছে ‘বানা’ শব্দটির থেকে। ‘বানা’ শব্দটির অর্থ জঙ্গল এবং ‘লাগি’ শব্দটির অর্থ আবেদন জানানো। ভগবানের মূর্তিসজ্জার জন্য জঙ্গলের চাররকম উপাদান ব্যবহার করা হয়। তার মধ্যে রয়েছে লা রঙের হরিলতা, হলুদ রঙের হেঙ্গুলা, সাদা রঙের শঙ্খ। এছাড়াও জগন্নাথ দেবের জন্য ব্যবহার করা হয় কালো রং। হাতে ধরে ধরে যত্ন সহকারে এই রং করেন সেবায়েতরা। ফলে এই সময়টার জন্য মূলত বন্ধ থাকবে দর্শন।