নিকাশি নালা নর্দমার বর্জ্য জল থেকে নমুনা জল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে হবে পরীক্ষা। করা হবে আরটি-পিসিআর টেস্ট। ভূর্গভস্থ নিকাশি নালার জল থেকে কোভিড চিহ্নিতকরণ। কোন কোন এলাকায় করোনা ছড়াচ্ছে, তা জানতেই ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা। এখন এই পরীক্ষার মাধ্যমে কোনও জায়গায় করোনা ছড়াচ্ছে কিনা, সেখানকার ভাইরাল লোড বাড়ছে কিনা, তা বোঝা যাবে। ফলে সেই অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। জানা যাবে কোনও এলাকায় কোভিডের আউটব্রেক হচ্ছে কিনা। পাশাপাশি, করোনার নতুন কোনও প্রজাতির উপস্থিতি রয়েছে কিনা, তাও জানা যাবে নমুনা পরীক্ষায়। কল্যাণীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়ো মেডিক্যাল জেনোমিকসি শুরু হতে চলেছে এই নজরদারি কর্মসূচি। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ও একাধিক পুরসভার সহযোগিতায় এই পরীক্ষা করবে NIBMG। বিভিন্ন জায়গার নিকাশি নালা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হবে কল্যাণীর NIBMG-তে। তারপরই হবে পরীক্ষা।
এই মর্মে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতর ও কলকাতা পুরসভা সহ একাধিক পুরসভার সঙ্গে আলোচনা সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার এভাবে করোনা চিহ্নিতকরণ কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ তথা পূর্ব ভারতে তো বটেই, বরং বলা ভালো গোটা ভারতেই। নিকাশি নালার বর্জ্য জল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে হবে পরীক্ষা। করা হবে আরটি-পিসিআর টেস্ট ও জেনোম সিকোয়েন্সিংও। উল্লেখ্য, সার্স Cov-2 ভাইরাস নাকের মাধ্যমে যেমন ঊর্ধ্ব শ্বাসনালীতে সংক্রমণ ঘটায়। তেমনই পাকস্থলীতেও বেশ কিছু রিসেপ্টর রয়েছে, যারা করোনাভাইরাসকে গ্রহণ করে। তারপর সেই ভাইরাস মলের মাধ্যমে শরীরের বাইরে নির্গত হয়। আর এটা একদম প্রথম দিকে ইনকিউবেশন পিরিয়ডেই হতে শুরু করে। যখন হয়তো শরীরে করোনার সংক্রমণের কোনও উপসর্গ-ই দেখা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যে অনেকে উপসর্গহীন থাকছেন আর তাঁদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।