উপনির্বাচনে কার্যত ধরাশায়ী অবস্থা বিজেপির। একের পর এক হার। এছাড়াও গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব দলের ভিতরকার দলাদলি তো লেগেই আছে। তেমনই আরও এক খবর উঠে এল সামনে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর পৌরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ইন্দা মোড় এলাকায় সৌমেন দাস ওরফে বিলু রথযাত্রা উপলক্ষে একটি ব্যানার লাগান। সেই ব্যানারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, খড়্গপুরের বিধায়ক হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায় এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির শক্তির কেন্দ্র প্রমুখ সৌমেন দাসের থাকলেও উধাও মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছবি। এর আগেও অনেক সময় দেখা গিয়েছে খড়গপুর শহরে কোনও ব্যানারে দিলীপ ঘোষের ছবি নেই কিন্তু হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়ের ছবি আছে। আবারও কোনও ব্যানারে দেখা গিয়েছে দিলীপ ঘোষের ছবি আছে কিন্তু হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়ের ছবি নেই। আজ রথযাত্রার দিনেও এমনই দৃষ্টান্ত ফের চোখে পড়ল খড়্গপুরে।
সেই ব্যানারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, খড়্গপুরের বিধায়ক হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায় এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির শক্তির কেন্দ্র প্রমুখ সৌমেন দাসেরও ছবি রয়েছে। কিন্তু এই ব্যানারে উধাও মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছবি। সেই নিয়ে শুরু হয়েছে খড়গপুর শহরে রাজনৈতিক বিতর্ক। শহর তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান জহর পাল বলেন, “আমরা দেখেছি এই শহরে দিলীপ ঘোষের পোস্টার যদি হয় সেখানে হিরণের ছবি থাকে না। আবার হিরণ যখন পোস্টার লাগায় তখন দিলীপ ঘোষের ছবি থাকে না। দিলীপ ঘোষকে রাজ্য কমিটি কোণঠাসা করে দিয়েছে। এবার হিরণ চাইছে এখানে দিলীপ ঘোষকে কী ভাবে কোণঠাসা করা যায়। দিলীপ ঘোষের অনুগামী যারা হিরণকে বয়কট করছে। অনুরূপভাবে হিরণের অনুগামীরা দিলীপ ঘোষকে বয়কট করছেন। এই যে বয়কট রাজনীতি চলছে নিজেদের মধ্যে তা আদতে চাপা বিরোধিতাই। নিজেদের মধ্যে খাওয়া খাওয়ি চলছে। এই ভাবেই দলটা শেষ হয়ে যাবে। এদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।