সাড়ে তিন ওভারেই ডিউক বলের আকার দ্রুত বদলে যাচ্ছে। ঘন ঘন বল বদলাতে হচ্ছে। এখন প্রশ্ন, বল কি সুইং করাতে পারবেন ভারত এবং ইংল্যান্ডের জোরে বোলাররা? সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। সিরিজের শেষ টেস্ট শুরুর আগেই চিন্তায় দুই দলের জোরে বোলাররা। এজবাস্টন টেস্টে খেলতে নামার আগে যশপ্রীত বুমরা, স্টুয়ার্ট ব্রডদের মাথাব্যথার কারণ, বলের সুইং। ইংল্যান্ডের ভিজে আহবাওয়াতেও আদৌ বল সুইং করবে কি না, তা নিয়ে চিন্তা থাকছে। কারণ, এ বারের ডিউক বল। এই মরসুমে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে ডিউক বল নিয়ে ব্যাপক সমস্যা হয়েছে। এই ডিউক বলেই এজবাস্টন টেস্ট খেলা হচ্ছে। বল এত তাড়াতাড়ি নরম হয়ে যাচ্ছে যে, শুরু থেকেই বার বার বদল করতে হচ্ছে। এর ফলে বোলারদের বল সুইং করাতে সমস্যা হচ্ছে।
ব্রড তাঁর কলামে এই ডিউক বলের কড়া সমালোচনা করেছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত সিরিজে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে বল নিয়ে বার বার আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে। এই বছর কাউন্টি ক্রিকেটও এই বলেই খেলা হচ্ছে। সেখানেও সমস্যা হয়েছে। ডারহাম ও গ্ল্যামারগনের মধ্যে ম্যাচে মোট ১১ বার বল বদল করতে হয়েছে। এর মধ্যে এক দিনেই পাঁচ বার বল বদলাতে হয়েছে। ‘মেল অন সানডে’ পত্রিকায় নিজের কলামে ব্রড লিখেছেন, ‘বল এত তাড়াতাড়ি নরম হয়ে যাচ্ছে যে, না থাকছে সুইং, না থাকছে বাউন্স। প্রতি ইনিংসে দু’-তিন বার করে বল বদলাতে হচ্ছে। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে কাদার তাল নিয়ে বল করছি। খেলা শুরুর আগেই মনে হচ্ছে হাত দিয়ে চেপে বলের আকৃতি বদলে ফেলা যাবে। ডার্বিশায়ারের বিরুদ্ধে ম্যাচে তো সাড়ে তিন ওভারের মধ্যে বলের বারোটা বেজে গিয়েছিল। আট ওভারের মাথায় বল বদলাতে হয়।’’