মহানগর‘রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য নিয়োগ নৈতিকতার প্রশ্ন’। আচমকা রাজ্যপালের এহেন ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সকলে। ফলে নিয়োগ নিয়ে সমালোচনা আরও প্রবল হয়েছে। রাজ্য বিধানসভায় আচার্য বিলটি পাশ হয়ে গিয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে। এবার থেকে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। এতদিন এই পদে ছিলেন রাজ্যপাল। তবে বিলটি এখন রাজভবনের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায়। রাজ্যপাল সই না করলে সংশোধিত আইন প্রয়োগ হবে না। সেই চুলচেরা হিসেব অনুযায়ী এই মুহূ্র্তে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য রাজ্যপালই। তাই তিনি তাঁর ক্ষমতাবলে নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, আচার্য বিলে সংশোধনী পরও কেন উপাচার্য নিয়োগ হল? আচার্য বিল পাশের পরও তা স্রেফ রাজভবনের ফিতের ফাঁসে আটকে রয়েছে।
আইনটি কার্যকর করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝেই বৃহস্পতিবার নিজের ক্ষমতাবলে রবীন্দ্রভারতীর নতুন উপাচার্যের নাম ঘোষণা করে দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। নৃত্য বিভাগের অধ্যাপক মহুয়া মুখোপাধ্যায়কে উপাচার্য পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। আর শুক্রবার এনিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ”রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নাম ঘোষণা করা ঠিক হয়নি। এটি নৈতিকতার প্রশ্ন।” ফলে নিয়োগ নিয়ে সমালোচনা আরও প্রবল হয়। এবার তাঁর সেই পদক্ষেপ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কথায়, ”রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগ অশোভনীয়। উনি কী চাইছেন, জানি না। একের বিল পাঠানো হচ্ছে কিন্তু ফেলে রাখছেন। কেন জানি না। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাম ঘোষণা করা ঠিক হয়নি। নৈতিকতার প্রশ্ন।”