বিজেপি এমন এক দল যাদের নিজেদের ঠিক নেই, গোহারান হেরে চলেছে, তুমুল গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব অথচ উল্টোপাল্টা মন্তব্য করতে ছাড়ে না। বাংলার অগ্রগতি ও সাফল্য আটকাতে না পেরে এবার কদর্য নোংরা রাজনীতি শুরু করে দিল বিজেপি। বাংলার মাটিকে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ করছে এই গেরুয়া শিবির। বহু চেষ্টা করেও ১০০ আসনের মুখও দেখতে পারেননি পদ্মপার্টির নেতারা। উল্টে দিন যত গড়াচ্ছে বাংলা থেকে ততই ধুয়ে মুছে সাফ হচ্ছে পদ্মের পতাকা। নিয়ম করে প্রতিটি নির্বাচনে তাঁরা শুধু গোহারান হেরে চলেছে তাই নয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে জামানতও খুইয়ে বসে থাকছে। বাম-কংগ্রেস-নির্দলদের থেকেও খারাপ ফল করছে। এত কিছুতেও লজ্জা হচ্ছে না মোদী বাহিনীর। উল্টে কেন্দ্রীয় সব প্রকল্পের টাকা, জিএসটির টাকা, ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে দিয়ে বাংলার পেটে লাঠি মারা শুরু করেছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন মোদী সরকার। বাংলার অগ্রগতি ও সাফল্য আটকাতে না পেরে এবার কদর্য নোংরা রাজনীতি শুরু করে দিল গেরুয়া শিবির। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের শিল্পোন্নয়ন এবং অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য উন্নয়ন দফতর ব্যবসা এবং লগ্নির পরিবেশে দেশের কোন রাজ্য কোথায় দাঁড়িয়ে সেই সম্পর্কে যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে বাংলার স্থান হয়েছে তৃতীয় শ্রেনীর রাজ্যের তালিকায়। কেন্দ্রের এই রিপোর্ট দেখে মনে হতেই পারে আসলে তাঁরা বোঝাতে চেয়েছেন বাংলায় কেউ শিল্পে লগ্নী করতে চাইছে না, এখানে কেউ ব্যবসা করতেও চাইছে না। কিন্তু এই রিপোর্ট কতখানি মিথ্যা ও ভুলে ভরা তা বাংলার মানুষ নিজের দুইচোখ দিয়ে দেখতে পাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, নয়া দিল্লীতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল ২০২০ সালের শিল্পোন্নয়ন এবং অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য উন্নয়ন সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করেছেন। তবে সেই রিপোর্ট ২০২০ সালের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে বাংলার স্থান হয়েছে তৃতীয় শ্রেণিভুক্ত ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী’ রাজ্যের তালিকায়। অনান্যবার এই রিপোর্টে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থান করে বিভিন্ন রাজ্যকে তুলে ধরা হয়। এবারে মোদি সরকার সেই পথে না হেঁটে রাজ্যগুলিকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে সেই রিপোর্ট পেশ করেছে। প্রথম শ্রেনীর তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাত, হরিয়ানা, কর্নাটক, পঞ্জাব, তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানা। এদের বলা হচ্ছে ‘টপ অ্যাচিভার্স’ বা চূড়ান্ত সফল রাজ্য। দ্বিতীয় তালিকায় আছে উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা ও উত্তরাখণ্ড। এদের বলা হচ্ছে ‘অ্যাচিভার্স’ বা সফল রাজ্য। তৃতীয় তালিকায় বাংলার পাশাপাশি ঠাঁই হয়েছে রাজস্থান, কেরল, অসম, ছত্তীসগঢ়, গোয়া ও ঝাড়খণ্ড। এদের বলা হচ্ছে ‘অ্যাসপায়ারার্স’ বা উচ্চাকাঙ্ক্ষী রাজ্য। চতুর্থ তালিকায় ঠাঁই হয়েছে দিল্লী ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। এদের বলা হচ্ছে উঠতি রাজ্য বা ‘ইমার্জিং বিজনেস ইকোসিস্টেমস’।