আজ, বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় বিধানসভা উপনির্বাচন। ভোটগ্রহণের তিন ঘণ্টার মধ্যেই বিশৃঙ্খলার অভিযোগ৷ বিভিন্ন ভিডিও এবং প্রতিবেদনে উল্লেখ, বিজেপি কর্মীরা বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র দখল করছেন এবং সাংবাদিকদের উপর নির্বিচারে হামলা করছেন। বিজেপি-সমর্থিত গুন্ডারাও ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ। চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে নিরাপত্তার কড়াকড়ি ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে লড়াই করছেন ২২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে আগরতলা কেন্দ্রে ছয় জন, টাউন বরদোয়ালি কেন্দ্রে ছয় জন এবং সুরমা ও যুবরাজনগর কেন্দ্রে ৫ জন করে প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাও রয়েছে আতঙ্ক৷
আগরতলা কেন্দ্রে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেস, এসইউসিআই ও নির্দল প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই কেন্দ্রেই রয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থী কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মণ এবং বিজেপির অশোক সিনহা। টাউন বরদোয়ালি কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, কংগ্রেস, ফরওয়ার্ড ব্লক, এসইউসিআই ও নির্দল প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে। এই কেন্দ্রে হেভিওয়েট প্রার্থী ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, কংগ্রেসের প্রার্থী আশিস সাহা ৷ ফলে এই দুই কেন্দ্র নিয়ে আগ্রহ দানা বেঁধেছে রাজনৈতিক মহলে।
জনৈক সাংবাদিকের অভিযোগ, টাউন বড়দোয়ালির একটি ভোটকেন্দ্রের কাছে নির্মমভাবে লাঞ্ছিত হন তিনি৷ সাংবাদিক বলেন, ‘গুন্ডারা লোকজনকে ভোট দিতে দিচ্ছিল না। যখন আমি ক্যামেরায় সেটি ধরার চেষ্টা করি, তখনই আমার ওপর প্রায় ২০-৩০ জন লোক হামলা চালায়। এটি আতঙ্কজনক মুহূর্ত ছিল। আমার ফোন, প্রেস কার্ড ছিনিয়ে নেয় এবং আমার মোটরসাইকেল ভেঙে দেয়’। ভিডিওতে দেখা যায় যে, বিজেপি কর্মীরা আগরতলা কেন্দ্রের ১১ নম্বর বুথের বাইরে জড়ো হয়ে ফোন ছিনতাই করছেন ও ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছেন।
অভিযোগ, ভোটপ্রবণ সুরমা কেন্দ্রের বুথ নং ২৩-এ, বিজেপি কর্মীরা বিরোধী প্রার্থীর বুথ এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে শারীরিকভাবে বাধা দেন। শুধু তাই নয়, আগরতলা, টাউন বড়দোয়ালি, সুরমা এবং যুবরাজনগর থেকেও ইভিএম ত্রুটির খবর পাওয়া গিয়েছে। উল্টোদিকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা জোর দিয়ে বলেছেন যে রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালিত হচ্ছে, যদিও খোদ তার নিজের নির্বাচনী এলাকা থেকে হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে।