অবশেষে নাজেহাল করা গরম থেকে স্বস্তি। ঘূর্ণিঝড় অশনি নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছিল অনেকদিন ধরেই। সোমবারই তা শক্তি বাড়িয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলের দিকে এগিয়েও আসছে এই ঝড়৷ এদিকে অশনি আসার আগেই সপ্তাহের শুরুতে বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতার একাধিক এলাকা৷ তবে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, নদিয়া জেলাগুলি আজ থেকে বৃষ্টি আরও বাড়বে বলে খবর৷
অশনি, যার অর্থ সিংহলী ভাষায় ‘ক্রোধ’, বঙ্গোপসাগরে ২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার দিকে এগিয়ে চলেছে। এর প্রভাবে সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ শহরে। কিছুটা গুমোটভাবও রয়েছে। রয়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও। তবে কাল বৃষ্টির জন্য তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা কমেছে। তবে অশনি কাঁটায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন উপকূলবর্তী এলাকা। এখন দেখার অশনি কতটা প্রভাব ফেলে বাংলায়।
আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে বুধবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাইতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বৃদ্ধির সঙ্গে উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি বাড়বে বলে পূর্বাভাস। আজকের মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১১ মে বুধবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলাতেই বৃষ্টির পরিমাণ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে উপকূলবর্তী তিন জেলায় ঘন্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উপকূল এলাকায় মৎস্যজীবীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা ইতিমধ্যেই সমুদ্রে দিয়েছেন, তাঁদের এদিনের মধ্যে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। আজ থেকেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বাড়বে হাওয়ার দাপট। আজ থেকে বাড়বে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে।