একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করে দলকে সর্বভারতীয় স্তরে মেলে ধরার চেষ্টা। আর সেই লক্ষ্যেই এই মুহূর্তে তৃণমূলের পাখির চোখ আসাম। আর তা আগামীই ১১ মে, বুধবার সে রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে খবর, একাধিক কর্মসূচি নিয়ে উত্তর পূর্বের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য আসামে যাচ্ছেন তিনি। গুয়াহাটিতে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনের পাশাপাশি দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন অভিষেক। উত্তর-পূর্বের অন্যান্য রাজ্যের তৃণমূল নেতৃত্বও সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
দলীয় সূত্রে খবর, বুধবারই যাবতীয় কর্মসূচি শেষে কলকাতায় ফিরে আসবেন অভিষেক। ২০২১ সালে প্রাক্তন সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি তথা আসামের রাজনীতিতে পরিচিত মুখ সুস্মিতা দেবকে দলে নিয়ে এসে চমক দিয়েছিল তৃণমূল। বাংলা থেকে সুস্মিতাকে রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে দলের বিস্তারের গুরুদায়িত্বও সুস্মিতাকে দেওয়া হয়েছে। অভিষেকের সঙ্গে সুস্মিতাও উপস্থিত থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে। সুস্মিতাকে সামনে রেখে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরাতেও ভাল ফলের আশা করছে তৃণমূল।
সম্প্রতি আসামে আরও একটি সাফল্য পেয়েছিল তৃণমূল। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুণ বোরা তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। বিজেপি শাসিত আসামে সংগঠনের ভিত আরও মজবুত করাই যে তৃণমূলের লক্ষ্য, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আরও একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। আসামের বেশ কিছু নাগরিক, মূলত বাঙালিদের মধ্যে এনআরসি নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। এনআরসি নিয়ে ক্ষোভের আবহে তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধি দল শিলচরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের বিমানবন্দরে নামতে দেওয়া হয়। বুধবার এনআরসি ইস্যু নিয়ে দলকে আন্দোলনের নামার বার্তাও দিতে পারেন অভিষেক। পাশাপাশি কংগ্রেস থেকে আরও কিছু নেতার দলে যোগদানের জল্পনা রয়েছে।