শীঘ্রই রাজ্যে ২০ হাজারের বেশি শূন্য শিক্ষকপদে নিয়োগ হতে চলেছে। স্বচ্ছতা আনতে তিন ধাপে পরীক্ষা নেওয়া হবে। ওএমআরে নেওয়া হবে পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ। ক’দিন আগেই শিক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক মিলিয়ে ২০ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগ করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। শুরুতে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রক্রিয়া চলবে। পরে নিয়োগ হবে একাদশ-দ্বাদশ এবং নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক পদে। এনিয়ে এসএসসি শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চলেছে বলে খবর। অন্যদিকে, নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরনও বদলে যেতে চলেছে। লিখিত পরীক্ষার জায়গায় উত্তর দিতে হবে ওএমআর শিটে। তিন ধাপে পরীক্ষা দেবেন চাকরিপ্রার্থীরা।
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি চলতি মাসেই প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। বর্তমানে সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে থেকে সেই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ হবে। যে-সব সহকারী শিক্ষকের ১০ বছর শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁরা আবেদন করতে পারবেন। ২০১৭ সালে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষাও হয়েছিল। চার পর্যায়ে কাউন্সেলিংয়ের পরে প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগও হয়। এখনও তালিকায় অনেক উত্তীর্ণ রয়ে গিয়েছেন বলে দাবি। এসএসসি সূত্রের খবর, নবম-দ্বাদশ শ্রেণির পুরনো প্যানেলের বর্ধিত শূন্যপদ পূরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে প্রায় সাত হাজার চাকরি। মঙ্গলবার উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলাটি শুনানির জন্য কলকাতা হাইকোর্টে শুনানির কথা। আইনি জটিলতা কেটে গেলে সেই সাড়ে ১৪ হাজার শিক্ষককে নিয়োগ প্রক্রিয়াও চলবে সমানতালে। তার পর সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হবে।
এছাড়া, পরীক্ষার ধরনও বদল করতে চলেছে এসএসসি।পরীক্ষা হবে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন বা ওএমআর শিটে। সেই উত্তরের কার্বন কপি বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে। সেই পরীক্ষায় পাশ করলে মেইন বা বিষয়ের পরীক্ষা। ওই পরীক্ষার মানও ১০০। এরপর ১০ নম্বরের ইন্টারভিউ। ২০২০ সালে সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষক নিয়োগের প্রথা ভেঙে ইন্টারভিউ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। থাকছে টিচিং ডেমনস্ট্রেশন। কীভাবে ক্লাস নিতে হবে তা দেখাতে হবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের। পাশাপাশি মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক স্তরের প্রাপ্ত নম্বরও মূল্যায়ন করা হবে। এসএসসি সূত্রে খবর, নতুন পরীক্ষার ধরনে নিয়োগে স্বচ্ছতা আসবে। সেই সঙ্গে দ্রুত মূল্যায়নও করা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছিল। মাল্টিপল চয়েজ প্রশ্নে সেই সম্ভাবনা নেই। এক নম্বরের হেরফেরেও চাকরি হাতছাড়া হতে পারে। টিচিং ডেমনস্ট্রেশন থাকায় পরীক্ষার্থীদের পড়ানোর দক্ষতা সম্পর্কেও পাওয়া যাবে ধারণা।