দুদিনের বঙ্গ সফরে এসে শুক্রবারই তাঁর বাড়িতে নৈশভোজ সেরেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সঙ্গে ছিলেন একাধিক বিজেপি নেতাও। যা নিয়ে তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক তরজা। কিন্তু সেই নৈশভোজের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই একেবারে উলটো ছবি চোখে পড়ল। শনিবার দুপুরে একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের পাশে দেখা গেল সস্ত্রীক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। সেখানে ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট বললেন, ‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার কাছের মানুষ।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে শাহ এবং তাঁর সঙ্গীদের আতিথেয়তায় সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল সৌরভ-জায়া ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়কে। বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে মন্ত্রী ফিরহাদের দুই পাশে আসন ছিল সৌরভ এবং ডোনার। অনুষ্ঠান শেষে ডোনাও বলেন, ‘দিদি তো অবশ্যই আমাদের কাছের।’ আর সৌরভ তাঁর বক্তৃতায় জানান, ওই বেসরকারি হাসপাতালের জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন। এবং রাজ্যের তরফে সব রকমের সাহায্য মিলেছে। সেই সঙ্গে সৌরভ বলেন, মন্ত্রী ববির কাছে মানুষ সাহায্যের জন্য গিয়ে নিরাশ হন না।
রাজনীতির আঙিনায় কি পা রাখবেন মহারাজ? এমন প্রশ্ন একুশের বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু এখনও সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দেননি তিনি। কিন্তু অমিত শাহ নিজে সৌরভের বাড়িতে নৈশভোজের ইচ্ছাপ্রকাশ করার পর সেই জল্পনা নতুন করে উসকে যায়। তবে শনিবার ফিরহাদের সঙ্গে এক মঞ্চে হাজির হয়ে সৌরভ যেন সেই জল্পনাতে খানিকটা জল ঢালার চেষ্টা করলেন। একে ভারসাম্য রক্ষার কৌশল হিসেবেও ব্যাখ্যা করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অন্যদিকে, ডোনাও স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘সৌরভ যা ভাল বুঝবে, তাই করবে। এ প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই। তবে রাজনীতিতে যোগ না দিয়েও ও ভাল কাজ করছে। আগামী দিনেও করবে।’