যোগী রাজ্যে মিড-ডে মিলে পড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে শুধু শুকনো রুটি আর লবণ। যে সাংবাদিকের ক্যামেরায় এই করুণ চিত্র ধরা পড়েছিল, সেই পবন জয়সওয়ালের মৃত্যু হল ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে। শেষদিকে টাকার অভাবে নিজের চিকিৎসাও করাতে পারেননি তিনি।
উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর এলাকার ওই সাংবাদিক দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন। টাকার অভাবে ঠিকমতো চিকিৎসাও হচ্ছিল না। গত কয়েক মাসে পবন জয়সওয়াল একাধিকবার সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন সামাজিক ফোরামে অর্থসাহায্যও চেয়েছেন। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। বৃহস্পতিবার ক্যানসারেই মৃত্যু হয় তাঁর। পবনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবও।
গতবছর আগস্ট মাসে মির্জাপুরেরই একটি স্কুলের মিড-ডে মিলের বেহাল দশা তুলে ধরেছিলেন এই পবন জয়সওয়াল। তাঁর পোস্ট করা একটি ভিডিওয় দেখা যায়, স্কুলে একই সারিতে পাত পেড়ে বসে রয়েছে খুদে পড়ুয়ারা৷ তাদের প্রত্যেকের থালাতে দেওয়া হয়েছে নুন এবং হাতে রুটি৷ ডিম, ডাল, সবজি কিছুই জোটেনি তাদের৷ তাই খিদের জ্বালায় বাধ্য হয়ে নুন-রুটি একটু একটু করে খাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা৷ অভিযোগ ওঠে, শুধু নুন-রুটিই নয়৷ মাঝে মাঝে পড়ুয়াদের নুন-ভাতও খেতে দেওয়া হয়৷ বিশেষ কিছু দিনে স্কুলে দুধ আনা হয়৷ তবে তা সব ছাত্রছাত্রীদের হাতে পৌঁছয় না৷ কলাও দেওয়া হয় না তাদের৷
পবনের শুট করা সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তা রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে যায়। পবনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করে যোগী সরকার। চাপ আসে তাঁর কর্মক্ষেত্রেও। তারপর থেকেই নানাভাবে চাপে ছিলেন পবন। মারণ রোগ ক্যানসার বাসা বাঁধে তাঁর শরীরে। কিছুদিন আগেই সরকার তাঁকে ক্লিনচিট দিতে বাধ্য হয়েছে।