বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুললেই বিরোধীদের চুপ করাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি-পুলিশ লেলিয়ে দেয় বিজেপি। বারবারই এই অভিযোগ করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দেশের বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। ঠিক তেমনটাই দেখা গিয়েছিল জিগনেশ মেওয়ানির ক্ষেত্রেও। গুজরাতের পালানপুর থেকে আচমকাই গ্রেফতার করা হয়েছিল এই দলিত বিধায়ককে। এমনকী আদালত জামিন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই অন্য এক মামলায় পুনরায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। অবশেষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে আসামের বরপেটার আদালত। তবে আসাম থেকে গুজরাত ফিরতে না ফিরতেই এবার ২০১৭-র এক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন জিগনেশ। পুলিশের অনুমতি ছাড়াই সেবছরের জুলাইয়ে মেহসানা টাউনে মিছিল, সভা করায় ভাদগামের নির্দল বিধায়ক ও আরও ৯ জনের তিন মাসের কারাবাস মাথাপিছু হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে মেহসানার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট জে এ পারমার। আদালত বলেছে, সমাবেশ করা দোষের নয়, কিন্তু বিনা অনুমতিতে মিছিল-সভা করা অন্যায়।
উনার কিছু দলিতকে জনসমক্ষে বেত্রাঘাত করার মর্মান্তিক ঘটনার বর্ষপূর্তি পালনে ২০১৭ সালের ১২ জুলাই বানসকান্ঠা জেলার মেহসানা থেকে ধনেরা পর্যন্ত ‘আজাদি মিছিল’ করেছিলেন জিগনেশ ও তাঁর সহযোগীরা। জিগনেশের সহযোগীদের একজন কৌশিক পারমার রাষ্ট্রীয় দলিত অধিকার মঞ্চ সংগঠনের ব্যানারে ওই মিছিল করার অনুমতি আদায় করেছিলেন মেহসানার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে। পরে সেই অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও মিছিল করেন জিগনেশরা। এবারবতাঁদের দোষী সাব্যস্ত করে আদালতের পর্যবেক্ষণ, জিগনেশরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে মিছিল করতে পারতেন। সেই মিছিল হওয়ার পর মেহসানা পুলিশ জিগনেশ ও বাকিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩ অনুচ্ছেদের আওতায় বেআইনি জমায়েতের মামলা করে। ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ।