বিএসএফের অনুষ্ঠান মঞ্চে। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার কেন? সরকারি কর্মসূচি পালনের অনুষ্ঠানে কেন বিজেপি নেতারা? এই প্রশ্নই উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সরকারি অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতা ও একজন সাংসদ থাকলেও রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে কোনও মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হল না কেন? আর বিরোধী দলনেতা ও একজন সাংসদ থাকলেও সরকারি অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশে তাঁরা বসলেন কীভাবে? সরকারি মঞ্চে বিজেপি রাজনীতিকদের এমন ‘দাপাদাপি’কেন, তা নিয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূল।
শাহর সঙ্গে সরকারি কর্মসূচিতে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও শান্তনু ঠাকুরের থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও অংশ নন। প্রশ্ন, তাহলে তিনি কীভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একই কপ্টারে সওয়ার হলেন। শুভেন্দু ও সুকান্ত- দু’জনেই বিজেপির প্রতিনিধি। আর বিজেপির প্রতিনিধি না হয়ে শুভেন্দুকে যদি বিধায়ক বা বিরোধী দলনেতা বলে দাবি করে সরকারি কর্মসূচিতে থাকার যুক্তি দেখানো হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধিকে ডাকা হল না কেন?
বিএসএফের মঞ্চকে কার্যত বিজেপির মঞ্চে পরিণত করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, ‘বিএসএফকে বিজেপির ক্যাডারে পরিণত করার নির্দেশ দিয়ে যাবেন না। বাংলার মানুষ এসব মেনে নেবে না’।