তৃণমূলের তৃতীয় সরকারের বর্ষ পূর্তি আগামীকাল। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারের সাফল্য তুলে ধরতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য৷ পিছিয়ে নেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এরই মধ্যে তৃণমূলের নজরে রয়েছে নন্দীগ্রাম। বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে জয়লাভ করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তারই কেন্দ্রে এবার আগামীকাল সভা করতে চলেছে তৃণমূল। সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ নন্দীগ্রাম বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মাঠে সভা করবেন কুণাল ঘোষ সহ দলীয় নেতৃত্ব।
কিন্তু হঠাৎ করে নন্দীগ্রাম কেন? তৃণমূল সূত্রে খবর, জমি আন্দোলনের মাটির সঙ্গে তাদের যোগ যে বর্তমান, তা মনে করিয়ে দিতে চাওয়া৷ অন্যদিকে নির্বাচনে হারলেও এই কেন্দ্রের উন্নয়নে যে তারা কাজ করবে সেটা বুঝিয়ে দেওয়া। একই সঙ্গে বিরোধী দলনেতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া। মনে করা হচ্ছে এই সব কারণেই বেছে নেওয়া হচ্ছে নন্দীগ্রামকে।
৫ মে রাজ্যের তৃতীয় বার সরকার গঠনের বর্ষপূর্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। এ বার তাই ওই দিনই দল তৃণমূল ও রাজ্য সরকারকে পৃথক দুই কর্মসূচি পালনের জন্য ময়দানে নামাবেন তিনি। তাঁর সরকারের একাদশ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে ৫ মে থেকে ৬ জুন একঝাঁক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেই অনুষ্ঠানের সূচি ঠিক করতে বুধবার নবান্নে রাজ্যের সব শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি এ বিষয়ে স্পষ্ট রুপরেখা ঠিক করে দেবেন। দফতরগুলির ১১ বছরের সাফল্যের সামগ্রিক রিপোর্ট তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সরকার গত ১১ বছরে বাংলার মানুষের জন্য কী কী কাজ করেছে এই কর্মসূচিতে সেই খতিয়ান তুলে ধরা হবে।
আগামীকাল, অর্থাৎ ৫ মে থেকে দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সেই দুয়ারে সরকার শিবিরের শুরুর দিনগুলিতে রাজ্যের প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে প্রদর্শনীও করা হবে। এ নিয়ে জেলাশাসকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সরকারের তরফে দুয়ারে সরকার, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, সবুজ সাথী, যুবশ্রী-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরা হবে বিভিন্ন প্রদর্শনীতে। জায়গায় জায়গায় প্রকল্পগুলির উপর ভিত্তি করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে প্রচারের অঙ্গ হিসেবে।