দেখতে দেখতে কেটে গেছে এক বছর। গত বছরের ২রা মে বাংলায় বিপুল জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার দিনটিকেই সোমবার ‘মা-মাটি-মানুষ দিবস’ হিসেবে ঘোষণার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, আগামী দিনের লড়াইয়ের কথা। আর তার জন্য দলকে ফের শক্ত হাতে বেঁধে ফেলতে উদ্যোগী তৃণমূল নেত্রী। বঙ্গবিজয়ের বর্ষপূর্তিকে সামনে রেখে তিনি সেই লক্ষ্যের দিকে এগচ্ছেন। ফিরিয়ে আনতে চলেছেন পুরনো কর্মসূচী— ‘দিদিকে বলো’। দুর্নীতি হোক কিংবা দাদাগিরি, বা অন্য কোনও সমস্যা, সাধারণ মানুষের সরাসরি অভাব-অভিযোগ জানাবার পথ আবার সুগম হতে চলেছে। আজ, মঙ্গলবার ই এম বাইপাসের ধারে মেট্রোপলিটনে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্থায়ী পার্টি অফিসের উদ্বোধন হবে। আগামী শুক্রবার সেখান থেকেই ওই কর্মসূচী ঘোষণা করবেন মমতা।
বিগত ২০১৯ সালের ২৯শে জুলাই চালু হয়েছিল ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচী। ৯১৩৭০৯১৩৭০ নম্বরে ফোন করে সরাসরি তৃণমূল নেত্রীর কাছে মতামত-অভাব-অভিযোগ পৌঁছে দিতে পেরেছিলেন রাজ্যের আম জনতা। ফলও মিলেছিল হাতে-নাতে। ফের সেই ধাঁচের একটি কর্মসূচী চালু হতে চলেছে আগামী শুক্রবার থেকে। ওই দিন বিকেলে তৃণমূল নেত্রীর উপস্থিতিতে দলের সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে। তারপরই ঘোষণা হবে কর্মসূচী। কোনও ঘটনা ঘটলে পুলিশকে রং না দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে এবার দুর্নীতি রুখতে তিনি কী বার্তা দেন, সেদিকেই কৌতূহল রাজনৈতিক মহলের। তাছাড়া গত ৮ই মার্চ নজরুল মঞ্চে মমতা গ্রামমুখী কর্মসূচির কথা জানিয়েছিলেন। তা আনুষ্ঠানিকভাবে শুক্রবার তারও ঘোষণা হতে পারে। বর্ষপূর্তির দিনে টুইটারে রাজ্যের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন তৃণমূল নেত্রী। জানিয়েছেন, “গত বছর এই দিনে দেশের কর্তাব্যক্তিদের আস্ফালনের বিরুদ্ধে বাংলার মা-মাটি-মানুষ তাঁদের অদম্য সাহসের পরিচয় রেখেছিলেন। সেজন্য আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। মা-মাটি-মানুষ সেদিন সারা দুনিয়াকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন, গণতন্ত্রে মানুষের শক্তির চেয়ে বড় কোন শক্তি নেই।” দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন, “বাংলার মানুষকে আরও ভালো পরিষেবা পৌঁছে দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।