প্রবল দাবদাহের কারণে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে এগিয়ে আনা হয়েছে গ্রীষ্মের ছুটি। আগামী ২রা মে থেকে ১৫ই জুন অবদি বন্ধ স্কুল। সেই কারণে স্কুলগুলিতে প্রথম সামেটিভ এবং একাদশ শ্রেণির প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা আপাতত স্থগিত থাকবে। বৃহস্পতিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ স্কুলগুলিকে এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। মে মাসে পরীক্ষাগুলি হওয়ার কথা ছিল। স্থগিত পরীক্ষাগুলি কবে নেওয়া হবে তা পরে জানাবে পর্ষদ এবং সংসদ। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েও স্কুলের গরমের ছুটির সময়ে সরাসরি ক্লাস হবে না। অনলাইনে ক্লাস এবং পরীক্ষা চলতে পারে বলে জানিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। প্রবল গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। তাই ২রা মে থেকে স্কুলে স্কুলে গরমের ছুটি, ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বাচ্চাদের গরমে সমস্যা হচ্ছে। কষ্ট পাচ্ছে। অনেক বাচ্চার নাক দিয়ে রক্ত বেরচ্ছে। ২ মে থেকে গরমের ছুটি দিয়ে দাও।” রাজ্য সরকারের এই ঘোষণার পর থেকেই বিরোধী দলগুলি সমালোচনায় মুখর হয়েছে। বিজেপি, কংগ্রেস, বাম, দলমত নির্বিশেষে রাজ্যকে আক্রমণ শানিয়েছে দলগুলি। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এই ছুটিকে ঢাল বানিয়ে বাংলা ভাগের পক্ষে সওয়ালও করেছেন। কিন্তু, দীর্ঘ গরমের ছুটি কি শুধুই বাংলায় ঘোষণা করা হয়েছে? অন্যান্য রাজ্যে কী পরিস্থিতি? দেখে নেওয়া যাক।
ভোপাল (মধ্যপ্রদেশ): ২৯শে এপ্রিল থেকে গরমের ছুটি সব স্কুলে।
উত্তর প্রদেশ : ২১শে মে শুরু হবে গরমের ছুটি। চলবে ৩০শে জুন পর্যন্ত (মোট ৫১ দিন ছুটি)।
পুদুচেরি : ৩০শে এপ্রিল থেকে ছুটি সব স্কুল।
ছত্তিশগড় : ২৪শে এপ্রিল শুরু হয়েছে গরমের ছুটি। চলবে ১৪ই জুন পর্যন্ত (মোট ৫১ দিন ছুটি)।
মহারাষ্ট্র : প্রথম থেকে নবম শ্রেণী এবং একাদশ শ্রেণীর জন্য ছুটি ২রা মে থেকে ১২ই জুন পর্যন্ত। বিদর্ভ অঞ্চলে ২৭শে জুন পর্যন্ত চলবে ছুটি। মোট ৪১ দিন।
কর্ণাটক : ১০ই এপ্রিল শুরু হয়েছে গরমের ছুটি। চলবে ১৫ই মে পর্যন্ত। মোট ৩৫ দিন ছুটি।
কেরল : নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে ১লা জুন থেকে। এপ্রিল ও মে মাস স্কুল বন্ধ। মোট ৬০ দিন।
রাজস্থান : আগামী ১লা মে থেকে ৩০শে জুন পর্যন্ত গরমের ছুটি। মোট ৬১ দিন।
অন্ধ্র প্রদেশ : ৬ই মে থেকে ৪ঠা জুলাই পর্যন্ত চলবে গরমের ছুটি। মোট ৫৯ দিন।
কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় : এর পাশাপাশি, দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে গরমের ছুটি মোট ৪০ দিন। শুরু হবে মে মাসে।
অতএব, বিজেপি, বাম এবং কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতেও লম্বা গরমের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই বাংলায় সরব হয়েছে দলগুলি। এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।