আচমকাই বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা কমল নাথ। বৃহস্পতিবারই দলকে ইস্তফাপত্র পাঠান তিনি। তাঁর জায়গায় নতুন বিরোধী দলনেতা হলেন ভিন্দ জেলার লাহার বিধানসভা কেন্দ্রের সাত বারের বিধায়ক গোবিন্দ সিং। তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে থাকছেন কমল নাথই। এদিন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল কমল নাথের চিঠির উত্তরে জানিয়েছেন, দলের সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশে তাঁর ইস্তফাপত্রটি গ্রহণ করেছে দল। ওই চিঠিতেই বলা হয়েছে, গোবিন্দ সিংকে পরবর্তী সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রস্তাবেও সায় দিয়েছে কংগ্রেস হাই কমান্ড। বহুদিন ধরেই বিরোধী দলনেতার পদ ছাড়তে চাইছিলেন কমল নাথ। সম্প্রতি তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শ করে রাজ্যের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার। অবশেষে বিরোধী নেতার পদ ছাড়লেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এক ব্যক্তি এক পদ – এই নীতি মেনেই বর্ষীয়ান নেতা পদত্যাগ করলেন বলে জানা গিয়েছে।
তবে উঠেছে প্রশ্ন। হঠাৎ কেন ওই পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কমল নাথ? আসলে ২০২৩ সালেই মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরকে হারিয়ে ফের হাত শিবিরকে ক্ষমতায় আসতে হলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে কমল নাথকে। সেই দিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। একসঙ্গে দু’টি দায়িত্বে থাকলে নির্বাচনী কৌশল ও ভোটপ্রচারের পরিকল্পনা করতে সমস্যা হতে পারে বর্ষীয়ান নেতার। সেই কারণেই তিনি বিরোধী দলনেতার পদ ছাড়লেন। এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস নেতৃত্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ কমল নাথ। তাঁর মতো অভিজ্ঞ ও বর্ষীয়ান নেতার মতামতের উপরে বহুক্ষেত্রেই নির্ভর করে ১০ জনপদ রোড। সেই কারণে তাঁকে মধ্যপ্রদেশের থেকে বেশি দিল্লীতেই দেখা যায়, এমন কটাক্ষও করে বিজেপি। উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার সাতবারের বিধায়ক কমল নাথ। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও। কিন্তু অকস্মাৎ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া-সহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ায় পতন হয় তাঁর সরকারের।