২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর এলগার পরিষদ সম্মেলনে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগে ২০১৮ তে তাঁকে প্রথমে গৃহবন্দি এবং পরে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। গত ৩ বছর জেলবন্দি থাকার পর মুক্তিও পেলেন ভীমা-কোরেগাঁও মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আইনজীবী-সমাজকর্মী সুধা ভরদ্বাজ।
২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের পুনে জেলার ভিমা-কোরেগাঁও অঞ্চলে সমাবেশ করে কয়েকটি সংগঠন। ১৮১৮ সালের একটি যুদ্ধে দলিতদের বিজয় উপলক্ষে ওই সভা করা হয়েছিল। পুলিশের অভিযোগ, ওই সভা থেকে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। একজন নিহত হন। ওই ঘটনার তদন্তের জন্য তৈরি হয় ভীমা কোরেগাঁও এনকোয়ারি কমিশন।
পুনে পুলিশের দাবি, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর এলগার পরিষদ নামে এক সংগঠন একটি সভা করে। তাতে উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করা হয়েছিল। এর ফলেই পরদিন ভীমা কোরেগাঁও অঞ্চলে জাতপাতের হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের অভিযোগ, এলগার পরিষদের সঙ্গে মাওবাদীদের যোগাযোগ আছে।
২০২০ সালেই ওই তদন্ত কমিশন শরদ পাওয়ারকে ডেকে পাঠিয়েছিল। কিন্তু তখন দেশ জুড়ে লকডাউন জারি হওয়ায় ‘মারাঠা স্ট্রংম্যান’ উপস্থিত হতে পারেননি। পরে তাঁকে চলতি বছরের ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি কমিশনের সামনে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বর্ষীয়ান নেতা পাওয়ার বলেন, তিনি জবানবন্দি দেওয়ার আগে একটি হলফনামা দেবেন।
তাই তাঁর আরও কয়েকদিন সময় প্রয়োজন। সম্প্রতি তিনি হলফনামা দিয়েছেন। তারপরে বুধবার কমিশন ফের পাওয়ারকে ডেকে পাঠায়। ২০২০ সালে বিবেক বিচার মঞ্চ নামে একটি সংগঠনের সদস্য সাগর সিন্ধে কমিশনে আবেদন জানান, পাওয়ারকে ডেকে পাঠানো হোক। কারণ তিনি ২০১৮ সালের হিংসার পরে সংবাদ মাধ্যমে এই সম্পর্কে একাধিকবার বিবৃতি দিয়েছেন।
এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারকে ডেকে পাঠাল সেই কমিশন। আগামী ৫ অথবা ৬ মে তাঁকে কমিশনের সামনে উপস্থিত হয়ে বিবৃতি দিতে হবে। তদন্ত কমিশনে মোট দু’জন সদস্য আছেন। তাঁদের একজন হলেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জে এন প্যাটেল, অপরজন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্য সচিব সুমিত মল্লিক।