প্রধানমন্ত্রীর লজ্জিত হওয়া উচিত। ২০১৫ সাল থেকে তেলঙ্গানায় জ্বালানির ওপরে কর বৃদ্ধি হয়নি। বুধবার অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে পেট্রপণ্যে ভ্যাট কমানোর পরামর্শ দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার এই ভাষাতেই মোদীকে আক্রমণ করলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও।
বুধবার কোভিড নিয়ে এক বৈঠকে জ্বালানির দামের কথা তোলেন মোদী। তিনি মূলত অ-বিজেপি রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে বলেন, তাঁরা যেন জ্বালানির ওপরে মূল্যযুক্ত কর (ভ্যাট) কমিয়ে দেন। তাতে সাধারণ মানুষের কিছু সুরাহা হবে। পরে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার গত নভেম্বরে জ্বালানির ওপরে শুল্ক কমিয়েছে। কিন্তু ভ্যাট কমাতে বলা সত্ত্বেও অনেক রাজ্য কমায়নি।
এরপরই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে দায়ী করা যায় না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ পুরি এদিন সকালে টুইট করে বলেন, বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি যদি মদের ওপরে কর না কমিয়ে জ্বালানির ওপরে কমাত, তাহলে সেখানে পেট্রল ও ডিজেল আরও সস্তায় পাওয়া যেত।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, তাঁর সরকার গত তিন বছরে পেট্রল ও ডিজেলে ভরতুকি দিয়েছে ১৫০০ কোটি টাকা। তাঁর কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য একপেশে ও বিভ্রান্তিকর। তিনি যে তথ্যগুলি দিয়েছেন, তা ভুল। গত তিন বছর ধরে আমরা প্রতি লিটার পেট্রল ও ডিজেলে এক টাকা করে ভর্তুকি দিয়ে চলেছি’।
পরে মমতা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমাদের প্রাপ্য ৯৭ হাজার কোটি টাকা। যেদিন আমরা এই প্রাপ্যের অর্ধেক পাব, তার পরদিনই পেট্রল ও ডিজেলে ভরতুকির পরিমাণ বাড়িয়ে করব ৩ হাজার কোটি টাকা। ভরতুকি দিতে আমার আপত্তি নেই, কিন্তু আমি সরকার চালাব কী করে?