দিনদিন বাড়তে থাকছে গরম। এই অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় জেরবার হয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ। উপরন্তু একসঙ্গে রাজ্যের ১২ জেলায় চলছে তাপপ্রবাহ। এই অত্যধিক গরমের হাত থেকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী এবং রোগী পরিজনদের কিছুটা রেহাই দেওয়ার চেষ্টা করল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রবল দাবদাহ থেকে মানুষকে খানিক স্বস্তি দিতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে তাঁরা।
রোগীর পরিবারের জন্য আরজিকর চত্বরে ওয়াটার এটিএম বসানো হয়েছে। সেই ওয়াটার এটিএমে ঠাণ্ডা জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে সব রোগীর পরিজনেরা হাসপাতাল চত্বরেই থাকেন, তাঁদের জন্য বাড়তি শেড তৈরি করা হচ্ছে।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজর ইন্ডোরে রোগীদের বাড়তি ফ্যান দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ওয়ার্ডের ভিতরে থাকা রোগীরা যাতে একটু ঠাণ্ডা জল পান, তার জন্য ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ডিসপেনসার বসানোর ভাবনাচিন্তা করছে কর্তৃপক্ষ।
বি সি রায় শিশু হাসপাতালের বহির্বিভাগে দেখাতে আসা শিশুদের রোদে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। বহির্বিভাগ আর ইন্ডোরে যথেষ্ট পরিমাণে ফ্যান বসানো হয়েছে। করা হচ্ছে জল সরবরাহও।
এসএসকেএম’এ প্রয়োজন মতো ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বাড়তি ফ্যান লাগানো হচ্ছে।
চিত্তরঞ্জন সেবা সদনে গর্ভবতী মায়েদের বহির্বিভাগে অপেক্ষার সময় কম করার জন্য বাড়তি চিকিৎসক দেওয়া হয়েছে। বাইরে রোদে যাতে লাইন দিতে না হয় তার জন্য ওপিডির ভিতরেই একটা ওয়েটিং রুম খোলা হয়েছে। প্রসবের জন্য ইন্ডোরে যাঁরা ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের জন্য বাড়তি ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবচেয়ে ওপরের তলায় যেহেতু সবচেয়ে বেশি গরম, তাই তাঁদের সেখানে রাখা হচ্ছে না। যে সমস্ত মহিলারা স্ত্রীরোগের অন্য কোনও সমস্যা নিয়ে অল্প সময়ের জন্য ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদেরই ওখানে রাখা হচ্ছে।