বেআইনি বালি খাদান,গাছ কাটা, দুর্নীতিতে কাউকে রেয়াত নয়। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার ঠিক এই ভাষাতেই বেআইনি বালি খনন, গাছ কাটা, দুর্নীতি নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সভাঘরে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেআইনি বালি খাদান, গাছ কাটা, দুর্নীতিতে রং দেখার দরকার নেই। সঠিক তথ্য পেলে ব্যবস্থা নিন। আমাদের থেকে কেউ বাধা দেবে না। বড় নেতাও দুর্নীতি করলে ব্যবস্থা নিন। এই দলটা মানুষের দল। এসব হবে না। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
পাশাপাশি, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও আইজি-ডিআইজিদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, ‘অনেক সময় মিথ্যা এফআইআর হয়। কোনটা সঠিক, কোনটা ঠিক নয়, সেটা যাচাই করতে হবে। চার্জশিট সময়ে দিতে হবে। চার্জশিটে ঠিকঠাক ধারা দিতে হবে।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। যাতে নির্ভয়ে মানুষ থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন। কমিউনিটি পুলিশিংয়ে জোর দিতে হবে।অনেক আইসি তাঁবেদারি করছেন। নিয়মিত নাকা চেকিং চলবে।’ জেলাশাসক ও পুলিশের সুপারের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিন মমতা জানান, ‘আসল ঘটনা হলে রাজনৈতিক রং না দেখেই ব্যবস্থা নিয়েছি। সিপিএম এত অত্যাচার করেছে। কিন্তু, ক’জনকে আমরা গ্রেফতার করেছি? বিজেপির ক’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে? আমরা প্রতিহিংসাপরায়ণ নয়। এখানে বেশি গণতন্ত্র আছে বলে অভিযোগ দায়ের হয়। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশে অভিযোগ দায়ের করতে দেওয়া হয় না। আমাদের এখানে একটা ঘটনা ঘটলেই ব্যবস্থা নিই।’ অন্যদিকে, হাঁসখালির ঘটনা নিয়েও এদিন পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, ‘হাঁসখালির ঘটনা কী ভাবে ঘটল? হাঁসখঘালির ঘটনায় কেন খবর নেওয়া হয়নি? পুলিশের গাফিলতিতে কেন ভুগবে সরকার? পুলিশের কাছে এক বয়ান পরিবারের। সিবিআইকে অন্য বয়ান দিয়েছে পরিবার।’ এর পাশাপাশি দুয়ারে সরকার প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ২১ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দুয়ারে সরকার চলবে। ৫ মে থেকে ২০ মে পাড়ায় সমাধান চলবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এই সময় সরকারি কর্মীদের ছুটি দেওয়া যাবে না। কেন্দ্রকেও এদিন একহাত নিয়েছেন মমতা। মোদী সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৭ হাজার কোটি টাকা পাই। খালি রাজ্যের উপর দোষ চাপানো হয়।’