এক সংসারে থাকলে ঠোকাঠুকি তো লাগেই। সে কথা তো নতুন নয়। তবে এই পারিবারিক অশান্তি মনোমালিন্য ঝগড়ার জেরে ঘটে গেল এক নৃশংস ঘটনা। পারিবারিক অশান্তিতে শাশুড়ি-বউমার বিবাদকে ঘিরে মারাত্মক ঘটনা হুগলির ভদ্রেশ্বরে।
দুই বউমাকে একসঙ্গে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল শাশুড়ির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, দুই বউমা একই ঘরে ছিলেন। সেসময় হঠাৎ তাঁদের গায়ে কেরোসিন তেল ছিটিয়ে দেন শাশুড়ি।
তারপর দেশলাই জ্বেলে তাও ছুড়ে দেন তাঁদের দিকে। মুহূর্তে হুলস্থূল বেঁধে যায় গোটা বাড়িতে। ছোট বউমা কোনওমতে ওই ঘর থেকে পালিয়ে বাঁচেন। কিন্তু বড় বউমা আগুনের হাত থেকে রেহাই পাননি। গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি এখন চূঁচুড়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত শাশুড়ির নাম রামপতি মাহাতো। তাঁর সঙ্গে এই চক্রান্তে তাঁর মেয়েও জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। তাঁকে খুঁজছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মাহাতো পরিবারে অশান্তি লেগেছে বাড়ি বিক্রি করা নিয়ে। ছেলে-বউমারা বাড়ি বিক্রি করে দিতে চান। কিন্তু শাশুড়ি ননদ তা চান না। এই নিয়েই অশান্তি চলছিল। তার মাঝে এমন মারাত্মক ঘটনা ঘটে যায়।
সোমবার এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয় ভদ্রেশ্বর থানায়। হাসপাতাল থেকে বয়ানও দেন আহত বড় বউমা। শাশুড়ি তাঁদের খুন করতে চেয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ছোট বউয়েরও একই অভিযোগ। তাঁরা জানিয়েছেন, শাশুড়ি, ননদ মিলে বাড়ি থেকে তাড়াতে চাইত এই দুই বউকে। তবে একেবারে আগুনে পুড়িয়ে মারতে চাইবে এমনটা কখনও ভাবতে পারেননি কেউ।