অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়কদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিভিন্ন কাজে নিয়োগ করা হয়। অনেক সময় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের তরফে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এবার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের পাশে দাঁড়াল সুপ্রিম কোর্ট ।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, পেমেন্ট অব গ্র্যাচুইটি অ্যাক্ট ১৯৭২ অনুযায়ী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরও গ্র্যাচুইটি প্রাপ্য। বিচারপতি অজয় রাস্তোগি এবং বিচারপতি অভয় এস ওকার বেঞ্চ জানিয়েছে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এবং সরকারের অঙ্গ হিসেবে কাজ করে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়কদের জন্য ১৯৭২ সালের আইন প্রযোজ্য’।
দেশের শীর্ষ আদালতে সমন্বিত শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়কদের ক্ষেত্রে ১৯৭২ সালের আইন প্রযোজ্য কি না, তা জানতে চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল । আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। জেলা উন্নয়ন আধিকারিক এবং আরও দুই ব্যক্তি এই বিষয় নিয়ে আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন।
শীর্ষ আদালত বলেছে যে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এবং শিক্ষার অধিকার আইনের ১১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিও বিধিবদ্ধ দায়িত্ব পালন করে। ‘গুজরাত আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চ জেলা উন্নয়ন আধিকারিকের আবেদন প্রসঙ্গে একই ধরনের মন্তব্য করেছিল । কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ, সিঙ্গল বেঞ্চের সেই বক্তব্যকে স্থগিত করেছিল। তাদের মতে, ১৯৭২ সালের আইনের ২ (ই) ধারা অনুযায়ী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়করা কোনওভাবেই কর্মচারী নন, এবং আইসিডিএসকে শিল্প বলেও মানতে চায়নি ওই ডিভিশন বেঞ্চ’।