মোদী জমানায় দেশের রেকর্ড বেকারত্ব নিয়ে বিরোধীরা বহু দিন ধরেই সরব। কিছুদিন আগে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খোদ আরএসএস-ও। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল, বিজেপি জিতলেও দেশে বেকারত্বের সমস্যা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে জানা গেল একটি উদ্বেগজনক তথ্য। চাকরি না পেয়ে ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়ছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। তাঁরা চাকরি খোঁজাই ছেড়ে দিয়েছেন। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি নামক এক বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষায় এই তথ্য জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার মনে করে, তরুণ কর্মীদের ওপরে নির্ভর করেই আগামী দিনে বিকশিত হবে ভারতের অর্থনীতি। কিন্তু ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মোট কর্মীর মধ্যে তরুণদের সংখ্যা কমেছে।
সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির দেওয়া হিসাব অনুযায়ী তরুণ কর্মীর হার পাঁচ বছরে ৪৬ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৪০ শতাংশ। ওই সময়ের মধ্যে কাজের বাজার থেকে বিদায় নিয়েছেন ২ কোটি ১০ লক্ষ তরুণী। অর্থাৎ যাঁদের চাকরি করার বয়স হয়েছে, তাঁদের মাত্র নয় শতাংশ চাকরি করছেন অথবা চাকরি খুঁজছেন। এরপরেই সিএমআইই-র তরফে বলা হয়েছে, চাকরি করার বয়স আছে, এমন ৯০ কোটি ভারতীয় আর চাকরি খুঁজছেন না। অর্থাৎ আমেরিকা ও রাশিয়ার মিলিত লোকসংখ্যার সমান সংখ্যক ভারতীয় মনে করেন, তাঁদের পক্ষে চাকরি পাওয়া সম্ভব হবে না। সমীক্ষায় এ-ও জানা গিয়েছে, দেশের ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের দুই তৃতীয়াংশই চাকরির বাজারে ভয়ংকর প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছেন। কম মাইনের শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে।