সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে ভরাডুবি ঘটেছে কংগ্রেসের। এমনকী পাঞ্জাবেও গদি হারাতে হয়েছে তাদের। আর তারপরই নড়েচড়ে বসেছে শতাব্দীপ্রাচীন এই দল। হাত শিবিরের অন্দরে এই মুহূর্তে সাংগঠনিক পরিবর্তন নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। অন্যদিকে, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের যোগদান নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে। এর মধ্যেই দলে নিজের গুরুত্ব আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করলেন রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট। সূত্রের খবর, দলনেত্রীর কাছে তিনি নিজের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ফের একবার। তবে সচিন পাইলটকে এই সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান, আগামী বছর রাজ্যে যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, তার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়েই কথা বলতে এসেছিলেন। কীভাবে পুরনো প্রথা ভেঙে নতুন করে কংগ্রেসকে রাজস্থানে ক্ষমতায় ফেরানো যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রাজস্থানে শাসক দলের ক্ষমতায় কংগ্রেস থাকলেও, যেভাবে একের পর এক রাজ্য হাতছাড়া হচ্ছে, তাতে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন কংগ্রেস কর্মীরা। জাতীয় স্তরেও প্রাধান্য অনেকটাই খোয়ানোয়, আগামী বছর রাজস্থানের নির্বাচনে জয় নিয়েও নিশ্চিত থাকতে পারছেন না সচিন পাইলট। সেই কারণেই তিনি বৃহস্পতিবার দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে দলীয় সূত্রে খবর, গতকালের বৈঠকে সচিন পাইলট রাজস্থানে তাঁর ভূমিকা নিয়েই কথা বলেছেন। কংগ্রেসের তরফে পাইলটকে কংগ্রেস প্রধান ও উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া হলেও, ২০২০ সালে তিনি যখন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে বিরোধিতা শুরু করেন, সেই সময়ই ওই দুটি পদই খোয়ান। দলীয় সূত্রে খবর, গতকালের বৈঠকে সচিন পাইলট দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে ফের একবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছাই প্রকাশ করেছেন।
বৈঠক শেষে সচিন পাইলট বলেন, ‘আমি কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ ও রাজস্থানে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করলে আরও এগিয়ে থাকা সম্ভব, তা নিয়েই আলোচনা করেছি। কীভাবে আমরা পুরনো রীতি ভেঙে ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারি, তা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। দলকে সাংগঠনিক স্তরে শক্তিশালী করতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন, তা নিয়েও বিশদে আলোচনা হয়েছে।’ যদি তাঁকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী করার বদলে, জাতীয় স্তরে কোনও পদ দেওয়া হয়, তবে তিনি তা নিয়ে সন্তুষ্ট হবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে পাইলট বলেন, ‘আমি বরাবরই বলে এসেছি যে ভূমিকা বা পদেই আমায় দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা আমি যথাযথভাবেই পালন করব। তবে অবশ্যই আমি নিজের রাজ্যেরই উপরই নজর দিতে চাইব।’ এর থেকেই স্পষ্ট নিজের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির দিকেই নজর পাইলটের।