খবরের দিকে চোখ রাখলে জানা যাবে এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে দিল্লীর জাহাঙ্গীরপুরি এলাকা। হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় সংঘর্ষের পর কেটেছে অনেকগুলি দিন। গতকাল উত্তর দিল্লী পুরসভার তরফে একটি বেআইনি নির্মাণ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। যদিও সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে থামিয়ে দেওয়া হয় সেটি। ওই উচ্ছেদ অভিযানে স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। যা নিয়ে বিতর্ক চলছে নানা মহলে। চলছে রাজনৈতিক তরজা।
উচ্ছেদ অভিযানের বুলডজার ধ্বংশ করেছে বহু দোকান, জিনিস বেচার গাড়ি। এমনকী, ওই এলাকার একটি মসজিদের দরজাতেও পড়েছে বুলডজারের ঘা। বহু মানুষের রুজি-রুটি খোয়া গিয়েছে মুহূর্তের মধ্যে। এর মধ্যে একজন গণেশ কুমার গুপ্ত। জাহাঙ্গীরপুরির বাসিন্দা গণেশের একটি জুসের দোকান রয়েছে সেখানে।
গণেশ জানান, ওই দোকানের সমস্ত ট্যাক্স তিনি দিতেন এবং সমস্ত খরচার রেকর্ডও তাঁর কাছে রয়েছে। এমনকী, পুলিশকর্মীদের সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের ব্যাপারে জানিয়ে তাঁর দোকান না ভাঙার জন্য অনুরোধও করেন গণেশ গুপ্ত। কিন্তু কোনও অনুরোধ-উপরোধে কোনও কাজ হয়নি। সরকারি বুলডজারের কোপে এসে মুহূর্তের মধ্যে খোয়া গিয়েছে তাঁর পারিবারিক রুজি রুটি। তাই ক্ষতিপূরণ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছেন গণেশ।
গতকালের অভিযানে ভাঙা পড়েছে তাঁর ‘গুপ্ত জুস কর্নার’-ও। যদিও গণেশের দাবি, তাঁর দোকান বেআইনি নয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে তাঁর কাছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর দোকান দিল্লী ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অনুমোদিত। কোনও মতেই ‘বেআইনি’ নির্মাণের আওতায় পড়ে না সেটি।
গণেশ এদিন বলেন, “কোনও পুলিশকর্মী আমার কাগজপত্র দেখতে চাইলেন না। আমি বার বার তাঁদের বলেছিলাম যদি কাগজপত্রে কোনও গোলমাল থাকে তাহলে তাঁরা আমার দোকান উচ্ছেদ করতে পারেন। তবে তাঁরা কিছুতেই শুনলেন না”। তিনি জানালেন, ১৯৭৭ সালে ডিডিএ-র অনুমোদন পায় তাঁর দোকান। গণেশের আগে তাঁর বাবা দোকানটি চালাতেন।