অতিমারি পরিস্থিতির কারণে গত দু’বছর প্রায় স্তব্ধ ছিল গোটা রাজ্য তথা দেশ। বন্ধ ছিল বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনও। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে চলতি বছর ফের বসেছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আসর। বুধবার থেকেই কলকাতায় শুরু হয়েছে এই শিল্প সম্মেলন।
এবার সেই বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকেই শিল্পপতিদের আস্থা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, আগামী ১০ বছরে বাকিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে বাংলা। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের শেষদিনে এমনই আশাপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ‘আমাদের বিনিয়োগ করতে হবে এবং শিল্পের উন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।’
মমতা জানান, রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে শিল্প ক্লাস্টার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে উঠেছে। সেখানে অনেকে চাকরি পাচ্ছেন। মমতার কথায়, ‘এখন বানতলা থেকে শুরু করে পাঁচলা – কত ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক আছে। সেই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের মাধ্যমে ছোটো শিল্প গড়ে উঠেছে। ৫,২১০ টি ক্লাস্টার, ২০০ টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক আছে। সিলিকন ভ্যালিও আছে। সেখানে ইতিমধ্যে ব্যবসা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই আমাদের উত্থান এত আকর্ষণীয়।’
বৃহস্পতিবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের শেষদিনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবার মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় ৩ লাখ ৪২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে তিনি জানান, ‘আগামী ১০ বছরে বাংলা যা করবে, তাতে কেউ বাংলাকে ধরতে পারবে না। আমাদের বিনিয়োগ আনতে হবে এবং শিল্পের উন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা পারব। শুধু মনোভাব চাই।’
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভারতে যেখানে বেকারত্বের হার ৪০ শতাংশ বেড়েছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে কমেছে। প্রচুর ছেলেমেয়ে চাকরি পেয়েছেন। মমতার কথায়, ‘কেউ বলতে পারেন, ভারতে চাকরি যাচ্ছে, যেখানে ভারতে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে, সেখানে বাংলায় কীভাবে দারিদ্র্যতায় ইতি টেনেছে? বাংলা কীভাবে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়েছে? বাংলা ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়ে দিয়েছে। কারণ আমাদের ক্ষুদ্র, ছোটো এবং মাঝারি শিল্প। সেখানে প্রচুর মানুষ কাজ করছেন। এটা দয়া করে বোঝার চেষ্টা করুন।’