২০১৯ থেকে লাগাতার অধঃপতনের পথে দল। একের পর এক নির্বাচনে পরাজয়। প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার পথে কংগ্রেস। তড়িঘড়ি তাই চিন্তন শিবিরের ডাক দিয়েছেন হাইকমান্ড। কিন্তু তার আগেই স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকলেন সোনিয়া। পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়ের জন্য সেই সব রাজ্যের নেতাদেরই দায়ী করেছেন তিনি। কেন লাগাতার দলের এই পরিণতি তা জানতে চিন্তন শিবিরের আয়োজন করেছে কংগ্রেস। তার আগেই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা সেরে রাখতে চাইছেন সোনিয়া।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়ের জন্য দলের অন্তর্দ্বন্দ্বই যে দায়ী তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তার উপরে সঠিক নেতার অভাব। বিশেষ করে পাঞ্জাবে অমরিন্দর সিংকে সরিয়ে চান্নিকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয়। তার সঙ্গে প্রকাশ্যেই বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন কংগ্রেস নেতা সিধুকে। সিধুকে প্রদেশ সভাপতি পদে বসিয়ে হিতে বিপরীত হয়েছে কংগ্রেসে। শোচনীয় হারের মুখে পড়তে হয়েছে কংগ্রেসকে। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে মুখ করেও কোনও লাভ হয়নি। মাত্র ২ টি আসনে জিতেছে কংগ্রেস। এর থেকে খারাপ পরিস্থিতি আর হতে পারে না। সেকারণেই দলের হাল ফেরাতে চিন্তন শিবিরের ডাক দিয়েছে হাইকমান্ড।
চিন্তন শিবির শুরুর আগেই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকেছেন সোনিয়া গান্ধী। মনে করা হচ্ছে সেখানে নতুন কিছু স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা করা হবে। কীভাবে পার্টি পরিচালনা করলে পরবর্তীকােল লাভের মুখ দেখবে দল। মূলত তাই নিয়েই আলোচনা হবে এই বৈঠকে। সেই সঙ্গে কোন পথে পার্টিকে পরিচালনা করলে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যাবে। কারণ এখন সংগঠন বড় করার থেকেই বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে দলের অস্তিত্ব রক্ষা করা। বা দল টিকিয়ে রাখা। সামনেই আবার গুজরাত, রাজস্থানে ভোট। তারপরেই লোকসভা নির্বাচন। কাজেই একেবারে এখন থেকেই মেপে মেপে পা ফেলতে চাইছে কংগ্রেস।