তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন তখন দলের রান ৫ উইকেটে ৮৭। বিরাট কোহলি, ফ্যাফ ডুপ্লেসিরা ফিরে গিয়েছেন সাজঘরে। গ্যালারিতে বসে থাকা রয়্যাল চ্যালে়ঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সমর্থকরাও হারের প্রতীক্ষা করছিলেন।
কিন্তু তাঁর মাথায় চলছিল অন্য অঙ্ক। কোন বোলারকে মারবেন, কী ভাবে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাবেন সেটাই ভাবছিলেন দীনেশ কার্তিক। করেও দেখালেন। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়ে ডিকে-র হুঙ্কার, ‘‘এখনও ফুরিয়ে যাইনি।’’
বেঙ্গালুরুতে যোগ দেওয়ার পরে কার্তিক জানতেন যে তাঁকে ফিনিশারের ভূমিকা পালন করতে হবে। সে ভাবেই নিজেকে তৈরি করেছেন। কার্তিক বলেন, ‘‘যখন ব্যাট করতে নামি তখন প্রতি ওভারে ১২ রান করে দরকার ছিল। এই রকম পরিস্থিতির জন্য অনুশীলন করি। কোন বোলারকে মারব, কী ভাবে ঠান্ডা মাথায় খেলব সেটার চেষ্টা করি। তারই ফল মাঠে পাওয়া যাচ্ছে।’’
কলকাতার হয়ে গত মরসুমে কয়েকটি ম্যাচে ঝলক দেখা গেলেও ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলতে পারেননি কার্তিক। তবে এ বার প্রথম ম্যাচ থেকেই ছন্দে রয়েছেন। কলকাতা ও রাজস্থানের বিরুদ্ধে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। তিন ম্যাচে তাঁকে কোনও বোলার আউট করতে পারেননি। সবটাই কঠোর পরিশ্রমের ফল বলে জানিয়েছেন কার্তিক।
ম্যাচ শেষে কার্তিক বলেন, ‘‘গত বছর আমার আরও ভাল খেলা উচিত ছিল। সেটা পারিনি। তবে এ বছর আমি অনেক কঠোর অনুশীলন করছি। যাতে এ ভাবে আরও বেশি ম্যাচ খেলতে পারি তার জন্য অনেক আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করেছি। নিজেকে বোঝাতে চাইছি যে আমি এখনও ফুরিয়ে যাইনি।’’