ফের বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় ফের পেট্রলে লিটারপ্রতি দাম বেড়েছে ৮৪ পয়সা। যার ফলে শহরে পেট্রলের নতুন দাম হয়েছে ১১৫ টাকা ১২ পয়সা। কেন্দ্রের জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরানোর চেষ্টা নেই। উলটে কেন্দ্রীয় সরকার ‘অজুহাত’ খুঁজছে। কেন্দ্রের এই ‘অসংবেদনশীল’ অবস্থান নিয়ে একদিকে যেমন বিরোধীরা সরব হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনই অশান্তি বাড়ছে এনডি’র অন্দরেও। জ্বালানি যন্ত্রণা নিয়ে এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব খোদ বিজেপির শরিকদল জেডিইউ।
এদিকে দাম বৃদ্ধি নিয়ে সাফাই দিতে গিয়ে সংসদে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত আমেরিকায় জ্বালানির দাম বেড়েছে ৫১ শতাংশ, কানাডায় ৫২ শতাংশ, জার্মানিতে ৫৫ শতাংশ, ব্রিটেনে ৫৫ শতাংশ, ফ্রান্সে ৫০ শতাংশ, স্পেনে ৫৮ শতাংশ। সেখানে ভারতে পেট্রোপণ্যের দাম বেড়েছে মাত্র ৫ শতাংশ’।
প্রশ্ন উঠছে, ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে প্রথম বিশ্বের এই দেশগুলির তুলনা কতটা যুক্তিযুক্ত? তৃণমূল মনে করছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই সাফাই বিভ্রান্তিকর। সাধারণ মানুষের জ্বালানি যন্ত্রণা দূর না করে, সংখ্যাতত্ত্বে ফাঁসিয়ে আমজনতাকে আরও বিভ্রান্ত করছে সরকার। বিজেপির শরিক দল জেডিইউও এনিয়ে সরব হয়েছে। জনতা দল ইউনাইটেডের শীর্ষ নেতা কেসি ত্যাগী এদিন বলেন,’পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করাটা ভীষণ জরুরি। আমাদের অনুরোধ গত ১৫ দিনে যে দাম বেড়েছে সেটা প্রত্যাহার করা হোক। সরকারকে দ্রুত মূল্যবৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে। নাহলে যেসব ভোটার এনডিএকে সমর্থন করেছে তারাও সরে যেতে পারে।